ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

‘ত্রিপুরাবাসীর জন্য বাংলাদেশের দরজা সব সময় খোলা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
‘ত্রিপুরাবাসীর জন্য বাংলাদেশের দরজা সব সময় খোলা’

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অধিবাসীদের জন্য বাংলাদেশের দরজা সবসময় খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) আগরতলায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ'র ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের উদ্যোগে সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হোসেনকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।  

ত্রিপুরা রাজ্যের সহকারী হাইকমিশনের দায়ীত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হলো। আগরতলার একটি রেস্তোরায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ'র ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের সভাপতি রতন সাহা, সম্পাদক সুজিত রায়, আগরতলায় অবস্থিত আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের ম্যানেজার দেবাশিষ নন্দীসহ সংস্থার সদস্যরা।  

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং সুদীর্ঘ। এই সম্পর্ক এখন সবচেয়ে মধুর এবং সুদৃঢ় হয়েছে দুই দেশের ডায়নামিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদীর জন্য। আগামী দিনে এই সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো ভালো হবে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য আগামী দিনে বিশেষ সুবিধা পাবে তার ভৌগলিক অবস্থানের কারণে।  

তিনি বলেন, ভারত থেকে প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলারের পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয় এবং বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানী করা হয়। তাই উভয় দেশে মধ্যে পণ্য আমদানী- রপ্তানীর একটি বড় সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিশ্বের যে কোনো দেশেই বিনিয়োগ করতে পারেন। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরাও আগামী দিনে ত্রিপুরা রাজ্যে আরো বড় আকারের বিনিয়োগ করবেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন ত্রিপুরা তথা ভারতবাসীর জন্য বাংলাদেশের দরজা সবসময় খোলা রয়েছে।  

অপরদিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন – ত্রিপুরা রাজ্যের বাণিজ্য এখন উড়াল দেওয়ার অবস্থায় রয়েছে। খুব দ্রুত রাজ্যে ব্যবসার ক্ষেত্র বিশাল আকার ধারণ করবে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ'র ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের সম্পাদক সুজিত রায় বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ জেলার সাব্রুম এলাকায় স্পেশাল ইকোনমিক জোন তৈরির কাজ চলছে। এখানে ভারতের শিল্পপতিদের পাশাপাশি বাংলাদেশের শিল্পপতিরাও বিনিয়োগ করতে পারবেন।  

তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সরাসরি বাংলাদেশের কিছু কিছু পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে তার আশা, উভয় দেশ আলোচনার মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন জানান, ত্রিপুরা রাজ্য থেকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যে সকল বাধা রয়েছে তা সমাধান করার জন্য তিনি এবং তার সহকারী হাইকমিশন প্রয়াস চালাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
এসসিএন/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।