কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭টা থেকে। বাকি আছে আরও দুই দফার ভোট।
চতুর্থ দফায়, ভোট হিংসায় ৫ জন নিহত হলেও পঞ্চম দফার ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছিল। তবুও ষষ্ঠ দফার ভোটে চোয়াল শক্ত করে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই পর্বে ১৫ হাজার ৪৮৬টি বুথে মোতায়েন করা হয়েছে ৭৮৩ কোম্পানি আধা সামরিক সেনা বাহিনী। এছাড়া ভোটরদের সুরক্ষা দিতে আছে কয়েক হাজার রাজ্য পুলিশ।
তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভোট হিংসাকে রুখে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ভোট পরিচালনা করা। ফলে আগের দফাগুলোর মতোই করোনাবিধি মেনে ভোটারদের বুথে যাওয়ার অনুমতি মিলছে। প্রতিটি ভোটারের মুখে মাস্ক ও হাতে ওয়ানটাইম গ্লাভস বাধ্যতামূলক। তাপমাত্রা মেপেই বুথের ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে কয়েকটি বুথে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি বলে খবর আসছে।
ষষ্ঠ দফার ৪৩টি আসনে তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি। এই দফায় বাম-কংগ্রেস-আব্বাস সিদ্দিকির জোট, সংযুক্ত মোর্চাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ দুই প্রতিপক্ষ। প্রতিটি বুথে সম্পূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া চলছে ইভিএম-এর মাধ্যমে। তবে উত্তর ২৪পরগনার কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর খবর সামনে এসেছে। অভিযোগ তৃণমূল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ষষ্ঠ দফাতে পরিচালক রাজ এবং অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের দুই তারকা প্রার্থী আছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে নিরিখে এই চার জেলার ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এর সাথে ২০১৬ -র ভোটে ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ২১১টি আসন। বিজেপি ৩টি, কংগ্রেসের ঝুলিতে ছিল ৪৪টি এবং বামফ্রন্ট পেয়েছিল ৩২টি। এছাড়া অন্যান্য দল মিলিয়ে ৪টি আসন। সেবারও বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছিল। তবে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের রাজনৈতিক ধারার অনেকটাই পরিবর্তন করেছে বিজেপি। এখন দেখার এবারের নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে? নাকি বিজেপিকেই বেছে নেবে রাজ্যবাসী? তা জানা যাবে ২ মে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
ভিএস/এইচএডি/