আগরতলা, (ত্রিপুরা): ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ত্রিপুরায়। কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সংসদ সদস্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম ত্রিপুরা রাজ্যের মাটিতে পা রাখলেন ভূমিকন্যা প্রতিমা ভৌমিক।
এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ত্রিপুরা বা উত্তর-পূর্ব ভারত নয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা এখানে এসে জ্ঞান অর্জন করবেন। তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করে তুলবেন।
বক্তব্যে প্রথমবারের মতো ত্রিপুরা রাজ্যের বাসিন্দাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এবং উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে রেকর্ডসংখ্যক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিয়োগ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বর্তমান ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রতিমা ভৌমিক।
এদিন তার আগমন উপলক্ষে ত্রিপুরা বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়।
সকাল থেকে আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দরে কর্মী-সমর্থকরা ভিড় জমান। ছিলেন সাধারণ মানুষও। নারীরা ফুলের মালা, শঙ্খ ইত্যাদি বরণ ডালা সাজিয়ে রেখেছিলেন আগেই। সেসঙ্গে বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো করা হয় ঢাকিদের।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসতেই তাকে ঘিরে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন সবাই। নারীরা ফুল ছিটিয়ে দেন তার ওপর।
তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য, সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, বিধায়ক কৃষ্ণ ধন দাস।
পরে একটি সুসজ্জিত গাড়িতে তোলে বিশাল বাইক মিছিল করে বিজেপির কার্যালয়ে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ডা. মানিক সাহাসহ অন্যান্য নেতারা।
এ সফরে চার দিন রাজ্যে থাকবেন প্রতিমা ভৌমিক। দলীয়ভাবে তার কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্য কার্যকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলোতে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আশীর্বাদ যাত্রা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
এসসিএন/এএটি