ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বাংলানিউজের সুদীপ পেলেন গ্রিন জার্নালিস্ট সম্মাননা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২১
বাংলানিউজের সুদীপ পেলেন গ্রিন জার্নালিস্ট সম্মাননা

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা সরকারের বনদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত 'বন্যপ্রাণী সপ্তাহ ২০২১' অনুষ্ঠানে গ্রিন জার্নালিস্ট সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এ বছরের আবারও সম্মাননা পেয়েছেন বাংলানিউজের আগরতলার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সুদীপ চন্দ্র নাথ।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত সিপাহীজলা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বন এবং রাজস্ব দপ্তরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মা, গোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, দুই পি সি সি এফ ডি কে শর্মা এবং রামেশ্বর দাস প্রমুখ।  

প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে উপস্থিত অতিথিরা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

এ সময় মন্ত্রী এন সি দেববর্মা বলেন, মানুষ এবং বন্যপ্রাণী হচ্ছে মুদ্রার এপিঠ এবং অন্য পিঠ। একপিঠ বাঁচলে অন্য পিঠ বাঁচতে পারে তাই পৃথিবীতে মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে বন্যপ্রাণীকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীদের সম্পর্ক গুহামানবের সময় থেকে চলে আসছে। সভ্যতার বিকাশ হচ্ছে, আগামী দিনে আরও বিকাশ হবে কিন্তু মানুষ এবং বন্যপ্রাণীদের সম্পর্ক নিয়মিত চলতে থাকবে।

এসময় এন সি দেববর্মা তার শৈশব কালে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণীদের সহচার্যের মধ্যে মানুষ কি ভাবে জীবনযাপন করেন তার কিছু সুন্দর বাস্তব চিত্র নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আগে একটা সময় ছিল যখন রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় সন্ধ্যা নামতেই বিভিন্ন ধরণের বন্য প্রাণীর ডাক, এমন কি বাঘের ডাক শুনতে পাওয়া যেত। তখন মানুষ যেমন পাখির ডাকের সঙ্গে সঙ্গে দিনরাত্রি এবং সময়ের পরিবর্তন বুঝতে পারতেন। ঠিক তেমনি গাছপালা এবং প্রকৃতির রূপ পরিবর্তন দেখে জুমের ফসল লাগানো ও ফসল তোলার সময় নির্ধারণ করতেন। এগুলো থেকে বুঝতে পারা যায় মানুষ, বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতির মধ্যে কতটুকু বোঝাপড়ার সম্পর্ক ছিল। এমনকি ত্রিপুরা রাজ্যের একাধিক জায়গায় নামকরণ হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য। এখন রাজ্যে হাতির সংখ্যা তেমন নেই তবে মুঘল আমলে প্রতিবছর ত্রিপুরা রাজ্যের রাজারা ন্যূনতম ১০০টি হাতি রাজাদের উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হতো।

অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের বন্যপ্রাণী নিয়ে একটি স্মরণিকা আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

স্থানীয় এলাকার শিল্পীদের উদ্যোগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক একটি সচেতনতামূলক নাটক উপস্থাপন করা হয়।

এ দিনের মন্ত্রী এনসি দেববর্মা বাংলানিউজের সাংবাদিক সুদীপ চন্দ্র নাথকে ২০২১ সালের গ্রিন জার্নালিস্ট সম্মাননার সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

এ নিয়ে পরপর দুইবার এই সম্মাননা পেয়েছেন তিনি এবং ত্রিপুরা রাজ্যে তিনিই একমাত্র গ্রীন জার্নালিস্ট সম্মাননাপ্রাপ্ত সাংবাদিক। পাশাপাশি আগরতলার একটি সংবাদপত্রকে গ্রিন নিউজপেপার সম্মাননা দেওয়া হয় এবং অনলাইনের মাধ্যমে ত্রিপুরা বায়ো ডাইভারসিটি বোর্ড আয়োজিত ২০২১ সালের প্রবন্ধ স্লোগান ফটোগ্রাফি সহ আরও বেশ কয়েকটি বিভাগের যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় তাতে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্মারক পত্র এবং অর্থ রাশি তুলে দেওয়া হয়।

এছাড়া সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নিরাপত্তার দায়িত্ব বজায় রাখতে পারেন তার জন্য বনো কর্মীদের হাতে বাই সাইকেলের চাবিও তুলে দেন মন্ত্রী।

প্রতিবছর রাজ্যজুড়ে বন্যপ্রাণী সপ্তাহ উদযাপন করা হয়। এর অংশ হিসেবে সিপাহী জেলার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বনদপ্তরের উদ্যোগে।

মূলত সাধারণ মানুষদেরকে বন্যপ্রাণী এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতন করার জন্য এই কর্মসূচি উদযাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা,অক্টোবর ০৯, ২০২১
এসসিএন/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।