‘গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়’- দাবি

ঢাকা: ভোরে ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হলে কয়েকজন মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ফরহাদ মজহার। তবে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে পাঠিয়ে জবানবন্দি নিয়ে আসল ঘটনা জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে ‘অপহরণের’ দাবি করেছেন মজহার।

তিনি বলেন, ‘মজহারকে উদ্ধারের পর আমরা সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

কেমন করে কি হল, বিষয়গুলো জানতে চেয়েছি। তিনি দাবি করেছেন, ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হলে তাকে কয়েকজন মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়’।

তিনি আরো বলেন, মজহার নিখোঁজের ঘটনায় সোমবার (০৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে তাকে আদালতে পাঠিয়ে জবানবন্দি নেওয়া হবে। তার দাবির ভিত্তিতে কে বা কারা তাকে নিয়ে গেল- সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে।

সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও এড়িয়ে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে’।

তিনি জানান, সোমবার ভোরে নিখোঁজ হয়েছেন- পরিবারের এমন অভিযোগের পর তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পেতে সচেষ্ট হয় পুলিশ। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় খুলনা-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধার করা হয়।

এর আগে সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে যশোর থেকে আদাবর থানায় আনা হয়। সেখান থেকে পরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার রাতে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর খুলনার ফুলতলা থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি দাবি করেন, অপহরণ নয়, ফরহাদ মজহার স্বেচ্ছায় ভ্রমণে বের হয়েছেন বলেই মনে হয়েছে। তার কাছে ভ্রমণের ব্যাগ, অালাদা কাপড় ছিল।

তবে সংবাদ সম্মেলনে কোনো কথা বলেননি ফরহাদ মজহার।

সোমবার ভোরে এ কবি ও বুদ্ধিজীবীকে তার ঢাকার আদাবরের নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী আদাবর থানায় একটি জিডি লিপিবদ্ধ করা হয়।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে খুলনা মহানগরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তল্লাশি চালায় র‌্যাব-৬। সেখানে তাদের অভিযান স্থগিত ঘোষণার আধঘণ্টা পর অভয়নগর থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।