চট্টগ্রাম: বাস ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এখন ট্রেন ভ্রমণের দিকে ঝুঁকছে। সেই ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ৪৮টি আন্তঃনগরসহ ১৯৬টি ট্রেন চলার কথা। কিন্তু নানা জটিলতায় বন্ধ রয়েছে ৫৬টি ট্রেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ট্রেন চালু হলে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে ট্রেনের টিকিটের জন্য রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটা কমবে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন
চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথের কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচিতেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন। বিভিন্ন রুটে চালু থাকা ট্রেনগুলোর জন্য তিন বছর পর নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল তৈরি করছে রেলওয়ে। এতে চালু থাকা ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন এবং নতুন ট্রেন চালুর জন্য বেশকিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে এক জোড়া বিরতিহীন ট্রেন চালু করতে আন্তঃনগর ট্রেন সোনার বাংলা ও তূর্ণা এক্সপ্রেসের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাবও রয়েছে।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে সোনার বাংলা বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে ছাড়বে। ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। এখন এই বিরতিহীন ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে বিকাল ৫টায় ছাড়ে। ঢাকায় পৌঁছায় রাত ১০টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে আন্তঃনগর ট্রেন তূর্ণা চট্টগ্রাম থেকে রাত ১১টার পরিবর্তে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং ঢাকা থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে।
প্রস্তাবিত সূচিতে চট্টগ্রাম থেকে সোনার বাংলার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মঙ্গলবার এবং সুবর্ণ এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বুধবার রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে সোনার বাংলার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মঙ্গলবার এবং সুবর্ণ এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সোমবার রাখা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথের প্রস্তাবিত নতুন ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাখা হয়েছে মঙ্গলবার।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে এখন ৬ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে মহানগর এক্সপ্রেস ১৯৮৫ সালে, মহানগর গোধূলী ১৯৮৬ সালে, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ১৯৯৮ সালে, তূর্ণা এক্সপ্রেস ২০০০ সালে এবং ২০১০ সালে চট্টলা এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়। সর্বশেষ ৬ বছর আগে ২০১৬ সালে এই রুটে যুক্ত হয় বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন সোনার বাংলা।
অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের পর সবচেয় ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে বিকাল ৫টায় মেঘনা এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এখন নতুন করে এই রুটে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ রুটে নতুন ট্রেন চালুর চাহিদা রয়েছে। আমরা আশা করছি, নতুন কোচ খুব শিগগিরই চলে আসবে। এরপর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ট্রেনের চাহিদা অনেক। প্রতিটি রুটে অতিরিক্ত ৫টি বগি সংযোজনের পরও ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী থাকলেও আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে মাত্র ৫ জোড়া।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
বিই/টিসি