চট্টগ্রাম: সিলেটে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ৫ ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া ৪ টায় ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ছাড়ে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস।
আর ৮ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশ গুপ্ত বাংলানিউজকে বলেন, মূলত পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামে আসার পর উদয়নের নামে সিলেট উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
তিনি জানান, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন সিলেট থেকে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে। ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌঁছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। অর্থাৎ সিলেট থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে পাহাড়িকার ৯ ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
জয়ন্তিকা ও পাহাড়িকার মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ায় পাহাড়িকা ট্রেনটি দুটি এসি বগি কম নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি পৌঁছাতে শনিবার ভোর চারটা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে জানান পরিবহন বিভাগের এ কর্মকর্তা।
এদিকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু উদয়নের শিডিউল বাতিল হয়েছে তাই আমরা যাত্রীদের টিকিট ফেরত নেবো। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ডক ইয়ার্ডে ওয়াসপিটে একই লাইনে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি ঢুকে যাওয়ায় (সাইড কোয়ালিশনে) দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাহাড়িকার দু’টি কোচ লাইনচ্যুত হয়।
দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
চার সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী, বিভাগীয় প্রকৌশলী ও যান্ত্রিক প্রকৌশলী।
বাংলাদেশ সময়:২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
জেইউ/টিসি