ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছয় মাসের মধ্যেই পিচ উঠে চাঁদপুর-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কে গর্ত

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
ছয় মাসের মধ্যেই পিচ উঠে চাঁদপুর-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কে গর্ত উঠে গেছে সড়কের পিচ

চাঁদপুর: নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যেই চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের বহু স্থানে পিচ উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেক স্থানে পিচ উঠে উঁচু হয়ে আছে।

যার ফলে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহনগুলো।  

ব্যয়বহুল সড়কের এমন পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সড়ক বিভাগ বলছে-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে গর্ত মেরামতের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সরেজমিন ওই সড়কের ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর সংলগ্ন ব্রিজের অংশ থেকে শুরু করে চাঁদপুর সদর উপজেলার সীমান্ত পর্যন্ত এসব গর্তগুলো চোখে পড়ে। গর্ত এবং পিচ উঠে উঁচু হওয়ার কারণে অধিকাংশ যানবাহন পাশ কাটিয়ে চলে। তবে বড় ধরনের যানবাহন ওই গর্তের ওপর দিয়ে চলার কারণে খুব দ্রুত পিচ উঠে মানচিত্রের মতে বড় হচ্ছে এবং সড়কের পুরোনো পিচ ঢালাই দেখা যাচ্ছে।

এই সড়কে নিয়মিত চলাচল করেন অটোরিকশাচালক মহসীন। তিনি বলেন, সড়কটি যখন নির্মাণ করা হয়, তখন কাজ ভালোই মনে হয়েছে। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই সড়কের অবস্থা খুবই করুন। সরকার টাকা দিলেও ঠিকাদার ঠিকভাবে কাজ করে না।

সদরের হানারচর এলাকার বাসিন্দা ও ভ্যানচালক হাবিবুর রহমান বলেন, সড়কটি গর্ত হওয়ার কারণে রাতে অনেক সময় ছোট গাড়িগুলো বিপদে পড়ে। গর্তগুলো মেরামত করা দরকার।

অটোবাইক চালক জুয়েল হোসেন বলেন, এবার এই সড়কের কাজ ভালো হয়নি। যে কারণে এত গর্ত। দুটি গাড়ি পাশাপাশি চলতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রামসহ বহু জেলার যাত্রীবাহী বাস এবং মালবাহী গাড়ি চলাচল করে।

দক্ষিণ ধানুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. হাবিব বলেন, ‘দেশের দুর্নীতিবাজদের দেখার কোনো লোক নেই। বক্তব্য দিয়ে কি হবে। সড়কের কাজ ভালো করে করলে এমন পরিস্থিতি হত না। ’

উপজেলার শোভান গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন জুয়েল বলেন, এই সড়ক দিয়ে আমাদের উপজেলা সদরে যেতে হয়। কয়েকমাস আগেই রাস্তার কাজ হয়েছে। এখনই বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে যাচ্ছে। গর্ত হওয়ার কারণে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের কাজ দেওয়া হয়, তারা দুর্নীতি করে। তাদের দুর্নীতির তদারকি থাকলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না।

দক্ষিণ ধানুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, সড়কটির দক্ষিণ ধানুয়া ঈদগাঁ থেকে শুরু করে উপজেলার ভাঙাপুল পর্যন্ত বেশি গর্ত হয়েছে। মেশিন দিয়ে সড়ক ঢালাই দিয়েছে। কাজ ভালো হলে কমপক্ষে ৩-৪ বছর রাস্তা ঠিক থাকার কথা। নিশ্চয়ই কাজ ভালো হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর সদর অংশ থেকে শুরু করে ফরিদগঞ্জ পর্যন্ত চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের ১৩ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ করেছে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ছয় মাস আগে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।

সড়কের বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় সওজ চাঁদপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াছিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের পিচ উঠে যাওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত মেরামত করার জন্য বলা হয়েছে। এটির জন্য নতুন টেন্ডার হবে না। কারণ হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি মানি তিন বছরের জন্য জমা আছে। তারাই কাজটি মেরামত করবে। আমি নতুন এসেছি। যে কারণে সড়কটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।