ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মোহাম্মদপুরের ‘আপদ’ শিয়া মস‌জিদ টু মো.পুর রোড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
মোহাম্মদপুরের ‘আপদ’ শিয়া মস‌জিদ টু মো.পুর রোড ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কের এক‌টি মোহাম্মদপুর টু শিয়া মস‌জিদ রোড। প্রতি‌দিন ব্য‌ক্তিগত গাড়িসহ অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে এই সড়কে। মাত্র আধা কিলোমিটারের এই সড়ক পার হতে নাভিশ্বাস উঠে যায় স্থানীয় বা‌সিন্দাদের।

ঢাকা: রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কের এক‌টি মোহাম্মদপুর টু শিয়া মস‌জিদ রোড। প্রতি‌দিন ব্য‌ক্তিগত গাড়িসহ অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে এই সড়কে।

মাত্র আধা কিলোমিটারের এই সড়ক পার হতে নাভিশ্বাস উঠে যায় স্থানীয় বা‌সিন্দাদের।

পুরো সড়ক জুড়ে খানা খন্দে ভর্তি। কোথাও ইট পাথরের বালাই নেই। এমনিতেই সরু সড়ক এর উপর আবার এমন হাল। এতে এই রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের পোহাতে হয় অনেক ভোগান্তি।

শ‌নিবার (১২ নভেম্বর) সরেজমিনে এমন চিত্রের দেখা মেলে।

দেখা যায়, নাম মাত্র পাকা সড়কে এখন শুধু ইটের খোয়া গড়াগ‌ড়ি খাচ্ছে। ছোট থেকে বড় গর্তের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না। এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে গাড়ি।  

‌মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের পাশে র্যাব-২ এর অ‌ফিসের বিপরীত পাশে কসমেটিক দোকানদার মো. সিরাজুল ইসলাম রাস্তার দূরাবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, কি বলবো, কার কাছে বলবো? রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। দোকানে মাল উঠাতে পা‌রি না, ডিসকালার হয়ে যায় ধূলোয়। আবার একটু বৃ‌ষ্টি হ‌লে রাস্তা হাঁটু পা‌নি হয়ে যায়।  

এদিকে শিয়া মস‌জিদ থেকে মোহাম্মদপুরগামী সড়কের দুই পাশে রয়েছে বেশকিছু ইট, বালুর দোকান। আর এসব দোকানের ভেতরে স্থান স্বল্পতা থাকায় দোকানের মালিকেরা সামনের সড়ককের কিছুটা জায়গা দখল করে রেখছেন মালামাল রাখার জন্য। এতে এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ধীর গতির হওয়ায় দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট।

এ বিষয়ে কথা হয় রাসেল নামে এক মাইক্রোচালকের সঙ্গে। এই রুটে প্রতিদিন বেশ কয়েকবার তাকে যাতায়াত করতে হয়।

তি‌নি জানান, সকালে জাপান গার্ডেন সি‌টি থেকে এই পথে যেতে বেশ কষ্ট হয়। একে ‌তো সরু রাস্তা তার উপর আবার ভাঙা। ধূলোয় কিছু দেখা যায় না। মাঝে মাঝে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। যানজটের ভোগান্তি তো আছেই।

স্থানীয় বা‌সিন্দা হাসমত আলীর অভিযোগ, ঢাকা উত্তর সি‌টি করপোরেশনের আওতাধীন এ রাস্তায় গত ১০ বছরে কোনো সংস্কার হয়‌নি।  

তি‌নি বলেন, ওয়াসা কাজ করে যাওয়ার পর রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ। পুরো মোহাম্মদপুরের মধ্যে এই রাস্তাটুকুই আমাদের জন্য আপদ।

এসব বিষয়ে ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজিব বাংলানিউজকে বলেন, এই রাস্তা ডিএনসিসি’র মেগা প্রজেক্টের আওতায় আছে। আশা করছি মেগা প্রজেক্টের দ্বিতীয় ধাপ এই নভেম্বরে অনুমোদন হবে। অনুমোদন হলে আসছে জুন-জুলাই মাসে পুলপাড় থেকে শিয়া মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার করা হবে।  

তিনি আরও বলেন, এই রাস্তাকে প্রশস্থকরণের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তাটি কোথাও ২০ ফুট, কোথাও ২৫ ফুট চওড়া। এটাকে ১০০ ফুট করার চিন্তভাবনা রয়েছে।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
এসএম/আরএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।