ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকার ৪ নদী তীরের ১৩ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
ঢাকার ৪ নদী তীরের ১৩ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে

ঢাকার চার নদীর দুই তীরে স্থাপিত অবৈধ ১৩টি স্থাপনা অতি দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। একই সঙ্গে নতুন করে যাতে কোনো স্থাপনা তৈরি না করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ঢাকা: ঢাকার চার নদীর দুই তীরে স্থাপিত অবৈধ ১৩টি স্থাপনা অতি দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। একই সঙ্গে নতুন করে যাতে কোনো স্থাপনা তৈরি না করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হবে।



রোববার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু নদী, তুরাগ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের টাক্সফোর্সের ৩৩তম সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান ও সংসদ সদস্য সানজীদা খানমসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শাজাহান খান বলেন, নদীর সীমানা পিলার নিয়ে যে আপত্তি ছিল তা নিরসনে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নকশা সরবরাহ করা হলে এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসকরা জরিপ কাজ শেষে যেসব আপত্তিকর সীমানা পিলার রয়েছে সে বিষয়ে এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিবেন।

এছাড়াও নদীর তীরবর্তী এলাকাবাসী যাতে নতুন করে ভরাট ও দখল না করতে পারে এজন্য একটি পরিপত্র জারি করা হবে। জরিপ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বহাল থাকবে।

বিআইডব্লিউটিএ নদীর তীরের যেসব জমির খাজনা দেয়, সেসব জমির অনেক ব্যক্তি মালিকও খাজনা দিচ্ছে। এজন্য স্থানীয় ভূমি অফিসে নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে তারা ব্যক্তি মালিক হিসেবে জমির দাবিদারদের কাছ থেকে খাজনা না নেন।

এছাড়াও অনেক জায়গা দেখা গেছে নদীর সীমানা পিলার ব্যক্তি স্বার্থে অপসারণ করা হয়েছে। আবার পিলারের উপরে দেওয়া লোহার পাইপ কেটে নিয়েছে। এজন্য আরও শক্তিশালী পিলার ও উপরের অংশে আরসিসি দিয়ে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জনগণকে সচেতন করতে নদীর তীরে মিছিল, মিটিং, সভা সমাবেশ মানববন্ধন করার পাশপাশি আগের মতোই প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রচার করা হবে। নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর ভবিষ্যতে দখল রোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে নিয়ে কমিটিও গঠন করা হবে।

বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের টাক্সফোর্স গঠন করা হয় ২০১০ সালে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ণ্টা, নভেম্বর১৩, ২০১৬
এসই/এমএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।