ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের ধর্মঘট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের ধর্মঘট

অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি চলাচলের সময় বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট এবং ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অনিদির্ষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি।

ঢাকা: অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি চলাচলের সময় বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট এবং ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অনিদির্ষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. মমিন আলী এ ধর্মঘটের ডাক দেন।

ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. মোমিন আলী বলেন, রাস্তায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি পেলেই বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকিয়ে নানা অজুহাতে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও তারা মামলা দেয়।

গাড়ির সিট বেশি, রোড পারমিট, গ্যাস সিলিন্ডার, কালো পেপার অজুহাতে অনেক সময় গাড়ি ডাম্পিংও করা হয়।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে কতিপয় অসাধু বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট অযৌক্তিকভাবে এই হয়রানি শুরু করেছে।

এসব হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট পালন করা হবে।

সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কতিপয় এসব অসাধু কর্মকর্তার হয়রানির হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

সরকারি হাসপাতালগুলোর সামনে কেন অ্যাম্বুলেন্স জড়ো করে রাখা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের এসব অ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।

এ সময় সরকারি হাসপাতালের পাশে অ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য জায়গা চেয়ে সরকারের প্রতি আবেদনও জানায় সংগঠনটি। অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসাকে পরোপুরি সেবামূলক ব্যবসা হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানানো হয়।

মোমিন আলী আরও বলেন, সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার অ্যাম্বুলেন্স আছে। এর মধ্যে কিছুসংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকের। বেশিরভাগ অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত মালিকানাধীন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. তাহের, সাধারণ সস্পাদক মো. লিটন, নির্বাহী সদস্য রাশেদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. বাদল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬ (আপডেট সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা)
এসজেএ/আটি/জিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।