ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মালয়েশিয়ার সঙ্গে ট্রেড ভলিউম বাড়াতে আলোচনার পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৬
মালয়েশিয়ার সঙ্গে ট্রেড ভলিউম বাড়াতে আলোচনার পরামর্শ ‘মার্কেটিং মিশন টু বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা/ শাকিল- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ট্রেড ভলিউম বাড়ানোর পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। এজন্য দু’দেশের ব্যবসার সম্ভাবনাগুলো নিয়ে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নুর আশিকিন বিনতে মোহাম্মাদ তাইব।

ঢাকা: বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ট্রেড ভলিউম বাড়ানোর পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। এজন্য দু’দেশের ব্যবসার সম্ভাবনাগুলো নিয়ে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নুর আশিকিন বিনতে মোহাম্মাদ তাইব।

শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মার্কেটিং মিশন টু বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান উইম্যান এন্টারপ্রেনার অ্যান্ড প্রফেশনালস (ডব্লিউআইই) এবং মালয়েশিয়ান এক্সট্রার্নাল ট্রেড ডেভলপমেন্ট করপোরেশন (মাতরাদি)।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্কে ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক দৃঢ় করার সুযোগও রয়েছে। এজন্য ট্রেড ভলিউম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কি কি ঘাটতি রয়েছে, এগুলো নিয়ে দু’দেশের আলোচনায় বসতে হবে। আমিও বিশ্বাস করি, মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তারা এ দেশে বিনিয়োগ করলে লাভ হবেন।  

হাইকমিশনার আরো বলেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের ব্যবসায়িক কৌশল ও  সম্ভাবনা নিয়ে  আলোচনা করতে হবে। দু’দেশের ব্যবসা কিভাবে উন্নয়ন করা যায় এ নিয়ে প্রতিনিধি আলোচনা করতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা কি কি বিষয়ে বিনিয়োগে আগ্রহী তা খুঁজে বের করতে হবে।

দু’দেশের মধ্যে যে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে তাতে নারী উদ্যোক্তাদেরও অর্ন্তভূক্ত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অর্ন্তভূক্ত করলে উন্নয়ন আরো মজবুত হবে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ দেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। এজন্য এদেশে কোম্পানি ও ইন্ডাস্ট্রি করতে পারেন। রেস্তোরাঁ, পরিবহনখাত ও  ক্লিনিক্যাল মানেজমেন্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের ত্রিশটির মতো দেশে ডিউটি ফ্রি (শুল্কমুক্ত) ব্যবসার সুযোগ পেয়েছি। মালয়েশিয়াতেও ডিউটি ফ্রি এক্সসেস চাই। দু’দেশের পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে শুল্কহার অনেক বেশি। এ কারণে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা এখানে সরাসরি বিনিয়োগ করলে আরো বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি'র (বিডব্লিউসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমদ, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট এ আর মো. আলমগীর জালিল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
এমসি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।