ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অধ্যাপক আকরমকে সংবর্ধনা

তার সৃষ্টি বহুকাল স্থায়িত্ব লাভ করবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৬
তার সৃষ্টি বহুকাল স্থায়িত্ব লাভ করবে

‘সম্পাদনা, সাহিত্য সমালোচনা, গভীর চিন্তার প্রকাশের কারণেই তার (অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন) সৃষ্টি বহুকাল স্থায়িত্ব লাভ করবে।’ 

‘সম্পাদনা, সাহিত্য সমালোচনা, গভীর চিন্তার প্রকাশের কারণেই তার (অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন) সৃষ্টি বহুকাল স্থায়িত্ব লাভ করবে। ’ 

‘সৈয়দ আকরম হোসেন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এভাবেই তাকে মূল্যায়ন করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

 

অধ্যাপক আকরম হোসেনের ৭২তম জন্মদিন ছিলো গত বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের সম্পাদক আবেদ খান, অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও কবি কামাল চৌধুরী।  

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য’র প্রধান নির্বাহী ও সত্বাধিকারী আরিফুর রহমান নাইম এবং ধ্রবপদ প্রকাশনার সত্বাধিকারী আবুল বাশার ফিরোজ।

অধ্যাপক আকরম হোসেনের মূল্যায়নে অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, তার তীক্ষ্ণ মেধা, যুক্তি, উপস্থাপন ও বলবার ক্ষমতা বিরল। এ কারণেই আমার মনে হয়, আমি যদি তার ছাত্র হতাম তবে তাকে অনুসরণ করতাম।

আবেদ খান বলেন তাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বের জায়গা থেকে, আমার বন্ধু আকরম অত্যন্ত নেপথ্যচারী এবং অভিমানী মানুষ। নেপথ্যচারীতাই সমাজের নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। তিনি যেখানে যান অসংখ্য অনুরাগীদের নিয়ে যান। এটা বর্তমান সময়ে বিরল।  

তিনি আমার সরাসরি শিক্ষক নন কিন্তু তাকে আমি শিক্ষক হিসেবে ভাবি। আমি বহুকাল ধরে তাকে অনুসরণ করছি। শিক্ষক ও লেখক হিসেবেই শুধু নন, উলুখাগড়া নামের পত্রিকা সম্পাদনা, রবীন্দ্রনাথ, সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ, এস ওয়াজেদ আলী, বিভুতিভূষণদের মতো লেখকদের সম্পাদনা করে একজন দক্ষ সম্পাদক হিসেবেও আমাদের কাছে আবিষ্কৃত হয়েছেন, বলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।  

কবি কামাল চৌধুরী বলেন, তাকে যতোটুকু পড়েছি, তাতে মনে হয়েছে তাকে নিয়ে আজকের দিনে প্রকাশিত গ্রন্থ জ্যোতির্ময়-এর নামটি যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত।  

সংবর্ধনা নিয়ে তিনি বলেন, আজকের আয়োজনে এতোগুলো দীপ্ত মনীষীর মাঝে আমার উপস্থিতিকে আমার ভাগ্য বলে মেনে নিয়েছি। এমনটি হওয়ার কথা ছিলো না। এরমধ্যে আবার সংবর্ধনা, এটা ভাগ্য বই কিছু নয়। আজ এই মুহূর্তে আমার কিছু বলার নেই। শুধু বলবো, আমি অভিভূত, অনুপ্রাণিত। এই সাথে আরেকটি জিনিস প্রমাণিত হলো, গোপনে কাজ করে গেলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যাবেই।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে সৈয়দ আকরম হোসেনকে ভালোবাসার চাদর পরিয়ে দেন তার শিক্ষক অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এসময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর প্রকাশনা সংস্থা ধ্রুবপদ ও ঐতিহ্য-এর যৌথ প্রচেষ্ঠায় প্রকাশিত ‘সৈয়দ আকরম হোসেন হোসেন সংবর্ধনা গ্রন্থ’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন লেখক ও সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী। ৬শ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য ১১শ টাকা। বইটি যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন অনু হোসেন ও সরকার আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।