ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সমতাভিত্তিক সমাজ গড়লে টেকসই উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
সমতাভিত্তিক সমাজ গড়লে টেকসই উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করে দারিদ্র্যতা নির্মূল করতে হবে। পাশাপাশি অসমতা দূর করে সমতার ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তুলতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল সিকিউরিটি কনফারেন্স অ্যান্ড নলেজ ফেয়ার-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের জন্য সুযোগ তৈরির পাশাপাশি সামর্থ্যবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ফলশ্রুতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।

তিনি বলেন, দরিদ্র জনগণকে এগিয়ে নিতে পারলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়ে বংশানুক্রমিক দারিদ্র্যচক্র ভাঙতে হবে।
 
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলেছেন। সমাজের প্রান্তিক, অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে একাধিক সুরক্ষা প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনাই প্রথম গরিব, দুস্থ, বিধবা, বয়স্ক মানুষদের নিয়ে বিশদ চিন্তা-ভাবনা করে দুর্দশা লাঘবে বিভিন্ন ভাতা, অনুদান ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম কীনোট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সমন্বয়) ড. শাহনাজ আরেফীন ভোট অব থ্যাংক্স দেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রতিনিধি, ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রতিনিধি, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এসকে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।