ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেকারত্ব নিরসনে ভূমিকা রাখছে রাইড শেয়ারিং

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
বেকারত্ব নিরসনে ভূমিকা রাখছে রাইড শেয়ারিং

ঢাকা: বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং যে কয়েকটা কোম্পানি কাজ করছে তার মধ্যে পিকমি লিমিটেড অন্যতম। রাইড শেয়ারিং পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে সবার নজর কেড়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকদে দ্রুত এবং সহজভাবে কীভাবে সেবা দেওয়া যায় সে লক্ষে নিরলস কাজ করছে পিকমি টিম। ২০১৮ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে বাংলানিউজের মুখোমুখি হয়েছিলেন পিকমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) ওমর আলী।

বাংলানিউজ: পিকমি-র আইডিয়াটা কীভাবে এলো?

ওমর আলী: অবশ্যই রাইড শেয়ারিং এর ধারণা থেকে। ঢাকা শহরের পরিবহন খাতের নৈরাজ্য অবসানে একটি প্রযুক্তি নির্ভর, নিরাপদ চাহিদাভিত্তিক অ্যাপ সেবা যে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে তা প্রবাসে বসে অনেক আগেই আমি উপলব্ধি করেছিলাম বিভিন্ন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার  মাধ্যমে।

প্রবাসে বসেই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম বাংলাদেশে “পিকমি” অ্যাপ চালু করার জন্য। একটু দেরিতে হলেও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পিকমি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ঢাকায়। বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং মার্কেটে শুধু রাইড কোয়ান্টিটির দিকে জোর দিয়ে যে এ খাতে টেকসই কোনো অবদান রাখা যাবে না সে ধারণা আমার শুরুতেই ছিল তাই আমরা রাইড কোয়ালিটির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছি।

বাংলানিউজ: আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন।

ওমর আলী: নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ আমি। তবে লেখাপড়া করেছি ও পরিবারসহ থিতু হয়েছি আমেরিকাতে। মনে প্রাণে আমি একজন বাংলাদেশী। দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আমার অনেক আগে থেকেই। বর্তমানে পিকমি-ই আমার ধ্যান-জ্ঞান।

বাংলানিউজ: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাইড শেয়ারিং খাতের সম্ভাবনা নিয়ে কিছু বলুন।

ওমর আলী: এই খাত বিপুল সম্ভাবনাময়। এরই মধ্যে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট রাইড শেয়ারিং মার্কেটের বর্তমান মূল্যায়ন করেছে বছরে ২২০০ কোটি টাকা যা সমগ্র পরিবহন খাতের ২৩ শতাংশ। রাইড শেয়ারিং অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে সোয়া লাখ গাড়ি চলছে এখন শুধু ঢাকা শহরে যেখানে বাস, মিনিবাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ট্যাক্সি মিলিয়ে আছে মোট ২৮০০০ যানবাহন। এতে সহজেই বোঝা যায় যে মানুষ এই রাইড শেয়ারিং সার্ভিসকে গ্রহণ করেছে। যানজট, অর্থনৈতিক সামাজিক ও বেকারত্বের সমস্যা নিরসনেও এখাত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।  পরিবহন খাতে যে ধরনের প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে এ সেবাটি বিস্তার লাভ করছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে হয়ত এই অ্যাপ ভিত্তিক সেবাটি সর্বাধিক জনপ্রিয় হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

বাংলানিউজ: বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং এ প্রথম লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে কিছু বলুন।

ওমর আলী: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি বর্তমান সরকারকে রাইড শেয়ারিং নীতিমালা -২০১৭ প্রণয়ন করার জন্য। বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং এ প্রথম লাইসেন্স পাওয়া পিকমি এবং আমার জন্য সৌভাগ্যের ও আনন্দের। এই লাইসেন্স আমাদের যাত্রাকে আরো বেগবান করবে পাশাপাশি দায়িত্বকে বাড়িয়ে দেবে।  

বাংলানিউজ: পিকমির বিশেষত্ব ও বর্তমান অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলুন।

ওমর আলী: পিকমির বিশেষত্ব হল “সেবার মান”। আমি আগেই বলেছি প্রচুর পরিমাণ রাইডের চাইতে মান সম্পন্ন রাইড নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য, যাতে করে ব্যাবহারকারী, চালক এবং সরকারসহ সবার স্বার্থ সংরক্ষিত হয়। আমরা আমাদের অ্যাপটিকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা করেছি। ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে ভাড়া গণনায় অধিক স্বচ্ছতা এনেছি, চালকদের জন্য বিভিন্ন রকম পরিষেবা দিচ্ছি, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, ট্রাফিক বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছি।

পিকমির অগ্রগতি অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক। অল্প সময়েই আমাদের লয়্যাল ড্রাইভার ও ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আমাদের টিমে অনেক দক্ষ জনবল সংযুক্ত হয়েছে এবং অনেক বিনিয়োগকারী তাদের আগ্রহ প্রকাশ করা শুরু করেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই শীর্ষস্থানে অবস্থান করব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।