প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য বোয়িং ৭৩৭ ও ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার দিয়ে এসব ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ান সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় টিকিট সংকটের কারণে আটকে পড়ায় তাদের সহায়তা করতে ও সুস্থভাবে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা হিসেবে দেশের মানুষের প্রতি বিমানের সবসময়ই একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দেশের মানুষ ও প্রবাসী শ্রমজীবী ভাই-বোনদের প্রতি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে এই বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, আমাদের প্রবাসী ভাইদের সাহায্য করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দেশের মানুষের স্বার্থ এবং প্রয়োজনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাগুলো সবসময়ই প্রস্তুত।
বিমান মন্ত্রণালয় জানায়, মালয়েশিয়ান সরকার সে দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি অবৈধ শ্রমিকদের দেশে ফিরে আসার সুযোগ প্রদান করলেও টিকিট সংকটের কারণে সেখানে অনেক শ্রমিক আটকে আছেন। সময় মত ফ্লাইট না পাওয়ায় তারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশে ফিরতে গিয়েও বিপাকে পড়েছেন । মালয়েশিয়ান সরকার ঘোষিত এ সুযোগ এবছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
টিএম/এমআইএইচ/এমএ /এসএইচ