বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভবানীপুর বাজারের উত্তরে কাজী বাড়ি এলাকার একটি জঙ্গলের ডোবার পাশ থেকে ওই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
মূলত কঙ্কালটি জড়িয়ে থাকা জ্যাকেট, মোবাইল, চার্জার, মানিব্যাগ ও জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধারের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কাওছারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন উপজেলার ওটরা গ্রামের হালিম হাওলাদারের ছেলে কাওছার। তিনি ভবানীপুর বাজারে সবজির ব্যবসা করতেন। সে সময় বহু খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রায় বছরখানেক পর বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় এক নারী কাজী বাড়ির বাগানে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে ডোবার পাশে একটি জ্যাকেট দেখতে পান। জ্যাকেটটি ধরতেই তাতে মোড়ানো মানুষের কঙ্কাল চোখে পড়ে ওই নারীর। পরে স্থানীয় লোকজনকে সে খবর দিলে তারা এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জ্যাকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র, মানিব্যাগ, মোবাইল ও চার্জারসহ কঙ্কালটি উদ্ধার করে।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল আহসান জানান, কঙ্কালের সঙ্গে উদ্ধার মালামাল দেখে প্রাথমিকভাবে নিঁখোজ পরিবারের লোকজন সেটি নিখোঁজ ব্যবসায়ি কাওছারের বলে দাবি করছে। তবে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের পরই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এদিকে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
ময়না তদন্তের উদ্দেশ্যে কঙ্কালটি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএস/এইচজে