বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আজম খান সরেজমিনে তদন্তকালে দরপত্রের কাগজপত্র ও ক্রয় করা যন্ত্রপাতি খতিয়ে দেখেন।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকালে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ান ও দরপত্র প্রস্তাব এবং মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা. নাসিমা খানম ইভাকে খুঁজে পায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আজম খান জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি তদন্ত করতে এসেছি। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেব বলে আশা করছি। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করলে অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান ও কমিটির সদস্য সচিব ডা. নাসিমা খানম ইভার মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের বইপত্র ও মালামাল ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে প্রতিষ্ঠানটিতে। ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা ৯৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি নয়। বাকি টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর, ২০১৯
এসএইচ