মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কুন্দুজের একটি সামরিক ঘাটিতে দিনের প্রথম হামলাটি চালায় তালেবান। এতে ঐ ঘাঁটিতে থাকা সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ সদস্য নিহত হন।
একই ঘটনায় আহত হয় দেশটির সরকারি বাহিনীর আরও ১২ সদস্য। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে দুই পক্ষের সশস্ত্র যুদ্ধ। এক পর্যায়ে সরকারি বাহিনীর অতিরিক্ত সৈন্য যোগ দিলে পিছু হটে তালেবান যোদ্ধারা।
কুন্দুজ আবারও তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করে ইউসুফ আইয়ুবী বলেন, কুন্দজ ও এর আশেপাশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
অন্যদিকে বাগলান প্রদেশের উত্তর অংশে পুলিশের একটি তল্লাশী চৌকিতে তালেবানের হামলায় নিহত হয়েছে ১১ পুলিশ সদস্য। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানায় বাগলান রাজ্য কাউন্সিল। কাউন্সিলের প্রধান সাফদার মহসিনি জানান, বাগলানের মারকাজি জেলার একটি পুলিশ চৌকিতে এই হামলা চালানো হয়। এই হামলায় অন্য ৫ পুলিশ সদস্য আহত এবং চৌকিতে থাকা সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ তালেবান সদস্যরা লুট করে বলেও জানান মহসিনি।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে তালেবান হঠাৎ করেই হামলে পড়লো যখন সংগঠনটির প্রতিনিধিরা শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য মস্কোতে আলোচনা করছেন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিভিন্ন গোত্রের প্রধানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছে তালেবান প্রতিনিধিদের।
তালেবানের বিরোধিতার মুখে এই আলোচনা সভায় আফগানিস্তান সরকারের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত হয়নি। ‘যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল’ আখ্যা দিয়ে দেশটির সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি তালেবান। তাই আলোচনায় নেই আফগান সরকারের কোন প্রতিনিধি। তবে আলোচনা থেকে কোন ইতিবাচক ফলাফল আসলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে তালেবানের এমন হামলা আলোচনার ইতিবাচক ফলাফলে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ০০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএমএস/এমকেএম