কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক কোনো তথ্য না জানালেও রেড ক্রসের বরাতে সংবাদমাধ্যম বলছে, ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আঘাতে অন্তত ১৩ হাজার ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। ২৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আর ঝড়ের আঘাতস্থল অ্যাবাকো দ্বীপে পানিতে ডুবে ৮ বছর বয়সী নাতি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন দাদি ইনগ্রিদ। এছাড়া সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঝড়টি আঘাতের সময় ‘জেট ইঞ্জিন’র মতো তীব্র আওয়াজ পাওয়ার কথা বলেছেন বাসিন্দারা।
বাহামায় কয়েক দফায় আঘাত হানার পর বর্তমানে ‘ডোরিয়ান’ ঘণ্টায় মাত্র ২ কিলোমিটার গতিবেগে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাহামায় আঘাতের পরও এর শক্তি কমেনি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনা ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও এসব রাজ্যে আরো আগেই জরুরি অবস্থা জারি করে ঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো প্রস্তুত রয়েছে বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। এছাড়া জরুরি ত্রাণ নিয়ে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির সাহায্যকারী জাহাজ ‘আরএফএ মাউন্টস বে’ বাহামায় পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ৫ ঝড়ে রূপ নেয় ‘ডোরিয়ান’। ঝড়ের এ অবস্থাকে ‘সবচেয়ে খারাপ এবং ঘরবাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া ও ভবন ধ্বংসস্তূতে পরিণত’ করাকে বোঝায়।
এদিকে ঝড়টিকে ফ্লোরিডার সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আখ্যা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, ১৯৯২ সালে আঘাত হানা ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন ‘অ্যান্ড্রু’র চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে ‘ডোরিয়ান’। সে সময় ৬৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়, ক্ষয়ক্ষতি হয় ৬৩ হাজারের বেশি ঘরবাড়ির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
জেডএস