ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস: গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড আবেদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস: গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড আবেদন ছবি: প্রতীকী

রাজশাহী: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।  

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুন্নবী হোসেন।

 

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি) ড. মো. রুহুল আমিন সরকার রিমান্ড আবেদনের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, ওই মামলার তিন আসামির প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।  

এর আগে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মহানগরীর রাজপাড়া থানায় মোসা. কারিমা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী চাকরি পরীক্ষার্থীর দায়ের করা প্রতারণা মামলায় পুলিশের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামের মৃত নেছাব উদ্দিনের ছেলে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার যাদুপুর গ্রামের মো. আব্দুল হানিফের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের মো. আসাদ আলীর ছেলে পুলিশ কনস্টেবল শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল। এর মধ্যে আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে কর্মরত ও এএসআই গোলাম রাব্বানী দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগে গ্রেপ্তারকৃত পুলিশের এ সদস্যরা ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেন। এজন্য পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে খুবই ছোট আকারের হেডফোন ও ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার কথা ছিল। এ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের সব উত্তর বলে দেওয়া হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এজন্য ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নগদ ৩ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেওয়া হয়। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে তার সঙ্গে মোট ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল চেক ও স্ট্যাম্প। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আসামি শাহরিয়ার পারভেজের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত ১৬টি গেঞ্জি, ১৩টি চুম্বক দণ্ড, ক্ষুদ্র গোলাকৃত্রির চুম্বকযুক্ত ২৬টি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, ১৫টি সাদা রংয়ের মোবাইল ফোনের চার্জার, দুটি স্ট্যাম্প, দুটি চেক, টাকা পাঠানোর দুটি রশিদ ও নগদ ৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।