ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ জুন ২০২৪, ১৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ডামুড্যায় অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
ডামুড্যায় অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ  প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ফাতেমা মুন্নি (৩০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (৫ জুন) রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত মুন্নি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তিলই এলাকার বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী।  

অভিযুক্তের নাম শরিফুল শেখ। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার চরপদ্মবিল এলাকার তৈয়ব শেখের ছেলে।  

ভুক্তভোগী নারী, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেন ছৈয়ালের মেয়ে মুন্নির সঙ্গে অন্তত ছয় বছর আগে বিয়ে হয় ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তিলই এলাকার বিল্লাল হোসেনের। তাদের সংসারে ৫ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মুন্নি এক বছর আগে মোবাইলফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে পুনরায় বিয়ে করেন গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার চরপদ্মবিল এলাকার তৈয়ব শেখের ছেলে শরিফুল শেখকে। তবে কয়েক মাস সংসার করার পরে মুন্নি জানতে পারেন, শরিফুলের আরেকটি স্ত্রী রয়েছেন। পরে শরিফুলকে ডিভোর্স দিয়ে প্রথম স্বামী বিল্লাল হোসেনের কাছে ফিরে আসেন তিনি।

এদিকে, এ ঘটনার পর থেকেই ক্ষিপ্ত হন শরিফুল। তিনি মুন্নিকে তার সংসারে ফিরে যাওয়ার জন্য একাধিকবার কল দিয়ে বিরক্ত করতে থাকেন। বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে মুন্নিকে আর বিরক্ত করবেন না বলে শেষ বারের মতো দেখা করার কথা বলে ডামুড্যায় আসেন শরিফুল। এক পর্যায়ে তারা দেখা করেন এবং রিকশায় মন্নিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। তারা রিকশা নিয়ে কুতুবপুর এলাকায় এলে হঠাৎ শরিফুল তার পকেট থেকে একটি ছুরি বের করে পেটে মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। সেসময় মন্নি নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরি দিয়ে জখম করে পালিয়ে যান শরিফুল। পথচারীরা তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অমিত সেনগুপ্ত বলেন, মুন্নিকে গুরুতর আহতাবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে পেটের নিচের অংশের আঘাতটি খুবই গুরুতর। মন্নি জানিয়েছেন, তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ফলে এ অবস্থায় তার দ্রুত অপারেশন প্রয়োজন। যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হয়, তবে তার জীবন সংশয় হতে পারে।  

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, এক নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যাচেষ্টার করা হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।