কক্সবাজার: টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।
জেলার রামু, সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়ায় পাহাড়ি ঢলে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক ডুবে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অধিকাংশ বাজারের দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ঢলের পানিতে ভেসে যাওয়া চারজনের মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন (২২) এবং ঈদগড় ইউনিয়নের বৈদ্য পাড়া এলাকার মৃত লইগ্যা রাখাইনের ছেলে চচিং রাখাইন (৫৫)। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, গর্জনিয়া ইউনিয়নের ছালেহ আহমদের ছেলে রবিউল আলম (৩৫) এবং ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের লম্বরিপাড়া এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে মো. জুনাইদ (১০)।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও চিড়া,গুড়, স্যালাইনসহ শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।
ডুবে থাকা শতাধিক গ্রামে ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় রান্নাবান্না করতে পারছে না। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে।
মানিকপুর-সুরাজপুরের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরী নদীর কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। এতে নদীর দুপারের কয়েকটি গ্রামে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
এসবি/এএটি