হবিগঞ্জ: ভারতে পালানোর পথে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রিপন শীল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বাংলানিউজকে এ তথ্য দেন।
গ্রেপ্তার নোমান একই জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়নের হাজী সেলিম উদ্দিনের ছেলে।
তাকে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে। পরে সেদিন রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি আলমগীর কবির বলেন, রিপন শীল হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নোমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর প্রয়োজন পড়লে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।
গত ০৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ প্রথমদিন দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনের রাস্তায় হাজারো ছাত্র-জনতা অবস্থান নেন। তারা টাউন হলের দিকে এলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালান। এতে সংঘর্ষ বেধে যায়। স্থানীয়দের দাবি, সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা গুলি ছাড়েন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রিপন শীলকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রিপন শীলের মা রুবি রাণী শীল এ ঘটনায় গত ১৫ আগস্ট সদর মডেল থানায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন এমপি মো. আবু জাহির ও ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৪
এসআরএস