ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৩ জুন ২০২৫, ০৬ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, বাঁধে ধস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৩, জুন ১, ২০২৫
খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, বাঁধে ধস খোয়াই নদীর বাঁধে ধস

হবিগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা পাঁচদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলের ফলে নদীগুলোর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

খোয়াই নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এর বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার অংশে ধস নেমেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পুরো বাঁধটি যদি ধসে পড়ে, তবে আশপাশের অন্তত অর্ধশতাধিক এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রোববার (১ জুন) দুপুর পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি ২১ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে।

একই সময়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি ৫.৪৯ মিটার উচ্চতায় ছিল, যা বিপৎসীমার চেয়ে ৪৪ সেন্টিমিটার বেশি।

এর আগের দিন শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চুনারুঘাটের বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপরে এবং আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

হবিগঞ্জ পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. একরামুল হক বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলের কারণে খোয়াই ও কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।

এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাদৈ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার জায়গাজুড়ে ধস নেমেছে। প্রস্থের দিক থেকে বাঁধের কয়েক ফুট অংশ ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পুরো বাঁধ ধসে গেলে আশপাশের অন্তত ৫০টি গ্রাম সরাসরি প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়বে।

তবে হবিগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, প্রায় ৩০ মিটার জায়গাজুড়ে বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে। আমরা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে তা মেরামতের কাজ শুরু করেছি।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।