ঢাকা: জাপানের ইয়োকোহামা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রি লাভ করেছেন চট্টগ্রামের নাছির উদ্দিন।
‘মূলধন কাঠামো: তাত্ত্বিক একত্রীকরণ, উৎপাদনশীলতা বিশ্লেষণ এবং পারফরম্যান্সের উপর প্রভাব’ বিষয়ে মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসে এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্পোরেট ফাইন্যান্স, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস্ অ্যান্ড মার্কেটস্’ বিষয়ে পড়াশোনা করা নাছির তার ব্যাচের সেরা গবেষকও নির্বাচিত হন।
তার বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উত্তর কাঞ্চননগর গ্রামে। বাবার নাম মরহুম আব্দুর রশিদ (প্রকাশ মো. কালু মিয়া), আর মায়ের নাম হাজী আয়েশা রশিদ।
নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে রেকর্ড নম্বরসহ বিবিএ (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি একই বিভাগ থেকে এমবিএ পরীক্ষায়ও প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জাপান (আইইউজে) থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। জাপানের আরেক বিখ্যাত সুকুবা ইউনিভার্সিটিতে এক বছর জাইকার রিসার্চ ফেলো হিসেবেও অধ্যয়ন করেন নাছির। তারপর ইয়োকোহামা ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের পিএইচডি প্রোগ্রাম (২০১২-২০১৫) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ডিগ্রি লাভ করলেন সেপ্টেম্বরে।
ড. নাছির উদ্দিন মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কার ও বৃত্তি লাভ করেন। তিনি জাপানের বিখ্যাত উৎসুকা তসিমি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে জাপানে বাংলাদেশের সেরা গবেষক নির্বাচিত হন এবং বিশেষ মেধাবী (এক্সেপশনাল মেরিট) শ্রেণিতে পিএইচডি স্কলারশিপ লাভ করেন। তিনি জাপানে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ লাভ করেন জাইকা’র প্রতিযোগিতামূলক ইন্টারভিউতে গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকারের মাধ্যমে। নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ (সম্মান) পরীক্ষায় বিবিএ হিসাব বিজ্ঞান, বিবিএ ব্যবস্থাপনা, বিবিএ মার্কেটিং এবং বিবিএ ফাইন্যান্সের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও লাভ করেন। এমবিএ পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও পুরস্কৃত হন।
নাছির উদ্দিন ইয়োকোহামা আন্তর্জাতিক ফুড উৎসবে (২০১৪) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১২-২০১৫ সালে ফ্রেন্ডশিপ অ্যাম্বাসেডর অব বাংলাদেশ ইন জাপান হিসেবেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন। দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হয় তার অর্ধশতাধিক লেখা ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ। তিনি দেশে-বিদেশে অর্ধশতাধিক সেমিনার-কনফারেন্সেও অংশ নেন করেন।
নাছির উদ্দিন বিভিন্ন সময়ে দেশে-বিদেশের বিখ্যাত শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। শিগগির একটি বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করবেন তিনি। তার পরিকল্পনায় ও সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট ডাটাবেজ। তিনি অটোকম জাপানের সহকারী পরিচালক হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন এবং এখন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কর্মরত আছেন। নাছির উদ্দিন তার প্রতিষ্ঠান এক্সিম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
এইচএ/