গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা দীঘিরপাড় এলাকায় পলি রানী গুপ্তা ওরফে তপসী দাস (২২) নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে তার স্বামী সঞ্জয় কুমার দাস।
শনিবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
নিহত গৃহবধূ তপসী দাস কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার এলংজুরী গ্রামের পরেশ চন্দ্র গুপ্তের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তপসী দাস ৫/৬ বছর আগে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার এলংজুরী গ্রামের জয় কুমার দাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার দাসকে (২৬) ভালোবেসে বিয়ে করেন। তারা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা দীঘিরপাড় এলাকায় হাজী ফজলুল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সঞ্জয় চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ইকুটেক্স নামের একটি পোশাক কারখানার কোয়ালিটি সেকশনে চাকরি করেন।
পারিবারিক কলহের জের ধরে শনিবার (৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে সঞ্জয় কেরোসিন ঢেলে তাপসীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ সময় তাপসী চিৎকার করতে করতে ঘরের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা পানি ঢেলে আগুন নিভান এবং তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর থেকে সঞ্জয় কুমার দাস পলাতক রয়েছেন।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব বলেন, তাপসীর শরীরের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। সঞ্জয় কুমার দাস গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘন্টা, ০৮ নভেম্বর ২০১৫/আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা
আরএ