ঢাকা: বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক পরিষদের (বিএসপিপি) মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীন। এ কারণে এ শিল্পের বিকাশও হয়েছে বেশি। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের কাছে কোনো সহযোগিতা চায় না। সরকার তল্পিবাহক সাংবাদিকতাও চায় না, আবার জঙ্গিবাদের পক্ষের সাংবাদিকতাও চায় না। চায়, বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন। মিথ্যাচার কিংবা তথ্যের খণ্ডিত চিত্র নয়, সরকারের ভুল-ক্রটি দেখিয়ে কঠোর সমালোচনা চায়’।
গণতন্ত্রের মশারির ভেতর দেশ বসবাস করছে উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এ কারণে রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারছি না। তাই দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে সব সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’।
জঙ্গি ও রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তিনি বলেন, গোলাম আযম, নিজামী রাজাকাররা আলেম না। আর জঙ্গি ও খুনিরা (যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে) রাজনীতিবিদ না। দেশের গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে জঙ্গি ও জঙ্গির সঙ্গী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে লিখতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে হবে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক উল্লেখ করে ইনু বলেন, ‘গণতন্ত্রে খালেদার জায়গা নেই। আগামী নির্বাচনে যেন জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক খালেদা অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে তাদের মুখোশ উন্মোচনে ভূমিকা রাখবেন। আমার রাজনৈতিক জীবনে নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক অখাদ্য, কু-খাদ্যদের রাজনীতিতে হালাল হতে দেখেছি। বিএনপির মতোই নিবন্ধিত দল তারা। এ ধরনের দল যেন রাজনীতিতে হালাল না হতে পারে, সেজন্য কাজ করবেন’।
সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকদের ১৪ দফা দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সাংবাদিক হিসেবে দেখি, সম্পাদক হিসেবে না। সম্পাদকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্লট কিংবা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না। তবে সাংবাদিকদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এজন্য আপনাদের সবাইকে পিআইবির ট্রাস্ট্রি সদস্য হতে হবে’।
সংগঠনের সভাপতি রিন্টু আনোয়ারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন, পিআইবি’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
এমএফআই/এএটি/এএসআর