বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর ভারতের আসাম থেকে আসা তাবলীগ জামাতের মেহমান মো. জাকির হোসেন মিয়ার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
প্রথমবারের মতো পঞ্চগড় জেলা ইজতেমা হওয়ায় জেলার ধর্মপ্রাণ মানুষেরা গ্রামগঞ্জ থেকে জমায়েত হচ্ছেন ইজতেমা মাঠে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে। দ্বীনের দাওয়াতের কাজ চলমান রাখতে জেলা ভিত্তিক এই ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
তিনদিনের ইজতেমায় কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগার ও বয়ানের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি-ঐক্য ও বিশ্ব মানবতার মুক্তি কামনা করা হবে।
ইজতেমা মাঠে বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইজতেমা মাঠে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মাঠের চতুর্দিকে পুলিশ কন্ট্রোলরুমসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ফিলিস্তিন জামাতের মেহমান বয়ান করবেন। অন্যান্য সময়ে কাকরাইলের মুরব্বি ও সুরা সাথীরা বয়ান করবেন।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, প্রথমবারের মত পঞ্চগড় জেলায় ইজতেমায় প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিবেন। ইজতেমাকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চগড় জেলার ৫টি উপজেলার মুসল্লিরা ছাড়াও এখানে ১২টি দেশ থেকে আসা মুসল্লিরা অংশ নিবেন বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
আরএ