বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে ‘ঢাকার ভবিষ্যৎ অর্থনীতি: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (ডিসিসিআই)।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটি নীতি গ্রহণ করা হয়। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের দুটি নীতি গ্রহণ করতে হবে। একটি ঢাকা কেন্দ্রীক আর একটি গ্রামীণ কেন্দ্রীক।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার সঙ্গে
গ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যদিকে, রাজধানীর পুরান ঢাকা একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হতে পারে। তবে এখানে সরকারি পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।
সেমিনারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঢাকার স্বাস্থ্য সেবা এক জায়গায় নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। জোন বা অঞ্চল ভিত্তিক বিশেষায়িত হাসপাতাল করতে হবে। ঢাকা মেডিকেলের শয্যা বা বেড আর বাড়ানো যাবে না। তবে সেখানকার চিকিৎসার মান আরো বাড়াতে হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নগরবাসীর সুবিধার জন্য সামাজিক কিছু দায়িত্ব বিনা পয়সায় করতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা, বস্তিবাসীদের জন্য অধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও ছিন্নমূলদের এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রসঙ্গ আসলে শুধু গার্মেন্টস সেক্টরের উদাহরণ তুলে ধরা হয়। কিন্তু অর্থনীতি বলতে শুধু গার্মেন্টস সেক্টর নয়। এতে সামাজিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতও রয়েছে। তাই এসব খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে নীতি নির্ধারকদের কোনো বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়ার আগে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান। মুক্ত আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন- ডিসিসিআই সাবেক পরিচালক এ কে খায়ের, নগর পরিকল্পনাবিদ আক্তার মাহমুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
ওএফ/বিএস