বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কমাতে হলে মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের আধুনিকায়ন করতে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ও বাংলাদেশ সরকারের সমন্বয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগার আধুনিকীকরণের পাশাপাশি চট্টগ্রামে নতুন রাসায়নিক পরীক্ষাগার নির্মাণে সহায়তা করবে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। লজিস্টিক সাপোর্ট, গাড়ি ও কম্পিউটার সরবরাহের মাধ্যমে সর্বাধুনিক একটি ডাটাবেজ তৈরিতেও সহায়তা করবে।
এতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে মাদক সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ দমন সহজ হবে বলেও জানান তিনি।
অধিদফতরে চিকিৎসা পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক মো. মফিজ উদ্দিন বলেন, দেশে ৪টি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে। ১৮৫টি বেসরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রকেও লাইসেন্স দিয়েছে অধিদফতর।
দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কমাতে হলে মাদকের সরবরাহ রোধ করতে হবে, মাদক উদ্ধার ও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার এবং বেশি বেশি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের জব্দ হওয়া বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও মামলার সংখ্যা সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ৩৯ হাজার ২১ পিস ইয়াবা, ২০৮ কেজি গাঁজা, ৬৮৬ বোতল বিদেশি মদ, ২০৩ ক্যান বিয়ারসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৭৯৫টি এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ৮৫৬ জন আসামিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসজেএ/জিপি/এএসআর