শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অফিসার্স মেসে এসি সরফরাজের নিজের কক্ষে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন আরএমপি’র মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম।
তিনি বলেন, সরফরাজের বাড়ি রাজশাহীতে হলেও তিনি মাঝেমধ্যেই অফিসার্স মেসে তার নিজের কক্ষে এসে ঘুমাতেন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাতেও তিনি এই কক্ষে ঘুমান। তবে সকালে দীর্ঘ সময় গড়িয়ে যাওয়ার পরও ঘুম থেকে না ওঠায় মেসের অন্য কর্মকর্তারা তাকে ডাকাডাকি করেন।
অনেকক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে মেস থেকে আরএমপি কমিশনার ও উপ-কমিশনারসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানানো হয়। তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে সরফরাজের কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। তার গলার দড়ি কক্ষের ভেন্টিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে লাগানো ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে আরএমপি’র কমিশনার শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আমরা প্রাথমিক আলামত দেখে বুঝতে পারছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করা হচ্ছে।
সাব্বির আহমেদ সরফরাজ আরএমপি’র রাজপাড়া জোনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম ওবায়দুল্লাহর ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭/আপডেট ১২৩৮ ঘণ্টা
এসএস/আরআইএস/এইচএ/