বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত বাঁধের জামিরতা-ভাটপাড়া এলাকায় এ ধস নামে। শুষ্ক মৌসুমে এমন বাঁধ ধসে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০০৯ সালে শাহজাদপুর উপজেলা রক্ষায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজাদপুরের কৈজুরী থেকে পাবনার বেড়ার বিনোটিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার বাঁধটি নির্মাণ করে পাবনার কৈটোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধটি নির্মাণের পর থেকে সংস্কার ও সঠিক তদারকি না থাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎ করে জামিরতা-ভাটারা এলাকার চারটি পয়েন্টে ধস দেখা দেয়। মুহুর্তের মধ্যে একটি পয়েন্টে প্রায় ২০০ মিটার ও তিনটি পয়েন্টে আরো ৩০০ মিটার এলাকা ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বসতভিটা ও আবাদি জমিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে ভাঙনের বিষয়টি কৈটোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
নদীতীরের হোরদিঘুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নূরজাহান খাতুন বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়ে সাড়ে ৪০০-এর উপরে ছাত্রছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়ে গেলে এদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
গুদিবাড়ি ও ভাটপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন, কায়েম উদ্দিন ও চায়না খাতুন বাংলানিউজকে জানান, ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটবে তাদের। বসতভিটা নদীতে বিলীন হলে নিঃস্ব হতে হবে তাদের। ভাঙনমুখে থাকা পরিবারকে দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণেরর দাবি জানিয়েছেন তারা।
কৈটোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বাংলানিউজকে জানান, ভাঙনরোধ বা সংস্কারে কোনো বরাদ্দ নেই। ভাঙনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকায় যেতে বলা হয়েছে। সবকিছু দেখার পর বরাদ্দ পেলে শুষ্ক মৌসুমে বাঁধটি সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
টিএ