শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
এসময় ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ব্যক্তিগত নানা ঘটনা উল্লেখ করেন ড. মসিউর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম, ড. আকবর আলী খান, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, গভর্নরের কাজে সরকারের হস্তক্ষেপ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার অবস্থান ইত্যাদি এ বইটিতে পুরোপুরি উঠে আসেনি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো কাজ না করলে রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনগুলো দিন দিন রাজনীতিবিদদের কথা অনুসারে চলছে।
অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, উন্নয়ন প্রশাসনে সালেহউদ্দিনের মতো বর্ণাঢ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক খুব কমই আছেন। তার এ বইটিতে ষাটের দশকের মধ্যবিত্ত পরিবারের আদর্শ ও চিত্র ফুটে ওঠে, যারা সে সময় শিক্ষার বিস্তৃতির মাধ্যমে দেশকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেকেই বলে উন্নয়ন হলে গণতান্ত্রিক অধিকার পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় না। তবে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে করা উচিত। কেননা সম্পদ ও ক্ষমতার সুষম বণ্টন না হলে সে উন্নয়ন মঙ্গলজনক নয়।
তিনি আরও বলেন, এখন প্রশাসন-রাজনীতিবিদদের কথা চলছে, যা দেশের জন্য সুখকর নয়। প্রাশসনিক কর্মকর্তাদের আরও ধূর্ত ও চতুর হতে হবে। কোনো অন্যায় আবদার থেকে বেরিয়ে আসার মূলমন্ত্র তাদের জানতে হবে। এ জন্য সততার সঙ্গে খুব শক্ত হাতে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এসই/এসএইচ