পানিতে তলিয়ে গেছে বসত-ভিটা, ফসলি জমি ও রাস্তা-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
পাউবো জানায়, রোববার (১৪ জুলাই) মেঘনার পানি বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পাউবো ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বাংলানিউজকে বলেন, মনপুরা উপজেলার মনপুরা, হাজিরহাট, উত্তর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর, চাচড়া ও সাদপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম ও চরফ্যাশনের মাদ্রাজ ও আসলামপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে বাঁধের বাইরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হলেও বাঁধের ভেতরে কোথাও পানি ওঠেনি।
তিনি আরও বলেন, জোয়ারের পানির তীব্রতার কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তিন উপজেলার ২৬ কিলোমিটার বাঁধ। ঝুঁকিপূর্ণ কিছু এলাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।
এদিকে, জোয়ারের পানিতে ঢালচর, কুকরী-মুকরী ও চরপাতিলাসহ বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হওয়ার তথ্য জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
অপরদিকে, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরি ও লঞ্চঘাট। পানিতে ঘাটের র্যাম (ফেরিতে ওঠা-নামার পথ) ও গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরিতে ওঠা-নামা করতে পারছেনা কোনো যানবাহন।
ফেরির ঘাট সহকারী হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, জোয়ারের পানিতে ঘাট প্লাবিত হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। শিগগিরই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এসআরএস