বুধবার (৩০ অক্টোবর) ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিনগত রাতে এ ঘটনার পর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে গৃহকর্মী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় তিনজনের নামোল্লেখ করে একজনকে অজ্ঞাতপরিচয় করে মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মী জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার জামপুরের হাবিবুরের বাসা ভাড়া করে বিভিন্ন লোকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন তিনি। কাজের সুবিধার্থে বর্তমানে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ভাড়া বাসা করে গৃহকর্মীর কাজ করেন। জামপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকা অবস্থায় হাবিবুরের সঙ্গে তার কিছু আর্থিক লেনদেন হয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হাবিবুর তার সহযোগী স্বপন ও শাহিনুরকে দিয়ে গৃহকর্মীকে ফোন করে হাবিবুরের বাসায় আসতে বলেন। তিনি হাবিবুরের বাসায় গেলে তাকে জোরপূর্বক চারজন মিলে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান ধর্ষকরা।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার বাগবাড়িয়া এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর, একই এলাকার আজিজুল মিয়ার ছেলে স্বপন (৩০) এবং নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রামাণিকের ছেলে শাহীনুর ইসলাম।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই নারী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসান উল্লাহ অভিযান চালিয়ে জামপুর থেকে হাবিবুর ও শাহীনুরকে গ্রেফতার করেন।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসানউল্লাহ বলেন, মামলা দায়েরের পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতারদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এএটি