ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৪০০ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে দুদক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
৪০০ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে দুদক

ঢাকা: চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আবারও নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ অভিযানের অংশ হিসেবে জব্দ করা ৪০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে দুদকের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অনুসন্ধান/মামলা চলমান রয়েছে।

 

‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যসূত্রে জানা যায়, বিএফআইইউ চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চার শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। দুদক চলমান অনুসন্ধান ও মামলাসমূহের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জব্দ করা হিসাবসমূহের বিবরণীসহ প্রকৃত অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করা আবশ্যক। ’

চিঠিতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে এখন পর্যন্ত জব্দ করা চার শতাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিবরণী ও প্রকৃত আর্থিক লেনদেনের তথ্য/রেকর্ডপত্র জরুরি ভিত্তিতে পাঠিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তকাজে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।  

দুদক ও বিএফআইইউ সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, যুবলীগের অব্যাহতি পাওয়া চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের অব্যাহতি হওয়া সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগ বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিছুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও সহ-সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার জি কে শামীম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাইয়ের হিসাব জব্দ করেছে বিএফআইইউ।  

পাশাপাশি অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদেরও ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে সংস্থাটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পরিচালিত শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সন্ধান পাওয়া যায়।  

এর জের ধরে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা।  

ক্যাসিনো পরিচালনায় জড়িতদের সম্পদের অনুসন্ধানে অভিযান পরিচালনার ১২ দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক।  

দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। এর অন্যান্য সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সালাউদ্দিন আহম্মেদ, সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী ও মামুনুর রশিদ চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
ডিএন/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।