ঢাকা: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাটকল ও চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া দেশ ধ্বংসের নামান্তর বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় কৃষক সমিতি।
শুক্রবার (১২ মার্চ) কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
সংগঠনটির পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে ২৫টি পাটকল ও ৬টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ৩২ হাজার প্রত্যক্ষ শ্রমিক বেকার হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৬০ লাখ পাট চাষি, ১০ লাখ আখ চাষিসহ প্রায় ১ কোটির অধিক খেতমজুর। এভাবে রাষ্ট্রীয় কল-কারখানা বন্ধ করে দিলে শ্রমিক-কৃষক মরে যাবে, বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে, যার ফলে জরুরিভিত্তিতে সরকার ৩ লাখ টন খাদ্য আমদানি করছে, এই পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সভা থেকে দাবি করা হয়, আর কোনো রাষ্ট্রীয় কল-কারখানা বন্ধ করা যাবে না। বন্ধ হওয়া কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করে অবিলম্বে খুলে দিতে হবে। না হলে কৃষক সমিতি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহামুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি এবং সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
সভার শুরুতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ রাজনৈতিক-সাংগঠনিক খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি আনিসুর রহমান মল্লিক, সহ-সভাপতি জ্যোতি শংকর ঝন্টু, হাজী বশিরুল আলম, বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, সহ-সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর সাহা দিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, করম আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তফা আলমগীর রতন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রেজাউল করিম, দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ খান, আদিবাসী কৃষক সম্পাদক রবীন সরেন, ত্রাণ-পুনর্বাসন ও স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২১
আরকেআর/এমজেএফ