ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কে.এম রুহুল রাব্বী (৪৮)। বেকারত্ব দূর করতে আর পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পাড়ি জমান প্রবাসে।
শনিবার (১৬ মে) বিকেলে বাহরাইনের জাল্লাক মহাসড়কের বাহরাইন ইউনিভার্সিটির কাছে দুইটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে রাব্বীসহ (৪৮) তিন বাংলাদেশি নিহত হয়। রাব্বীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত রকিব উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাব্বির বাবা-মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে রাব্বী দ্বিতীয়। পরিবারকে স্বচ্ছল করতে গত ২০১৭ সালে বাহরাইনে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে একটি কম্পানিতে সুপারভাইজারের চাকরি করতেন। এ বছরের শেষ দিকে তার দেশে ফেরার কথা ছিলো। রাব্বির মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
রাব্বীর ভাগ্নে আরাফাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভোরে বাহরাইন থেকে মেজো মামা মাসুদ খন্দকার ফোন করে তার মাকে দুর্ঘটনার খবরটি জানায় মারা গেছে। মামা ঈদের ছুটিতে তার বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিসহ তিনজন মারা যান।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ-উল আলম জানান, নিহতের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ আনা থেকে শুরু করে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় সেটা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
এনটি