ঢাকা, বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মা-মেয়ে পাচার: কাল্লু-নাগিন সোহাগসহ আটক ৩ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
মা-মেয়ে পাচার: কাল্লু-নাগিন সোহাগসহ আটক ৩ 

ঢাকা: মা-মেয়েকে ভারতে পাচারকারী চক্রের মূলহোতা কাল্লু ও নাগীন সোহাগসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪।

সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে চক্রের তাদের আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কাল্লু ও নাগীন সোহাগ সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। দীর্ঘদিন ধরে তারা নারী পাচার করে আসছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘সৌন্দর্য শেষ হলেই কিডনি-চোখ বিক্রি করে দেয় ওরা’

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সোমবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে, বাংলানিউজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে মা-মেয়ে পাচারের লোমহর্ষক ঘটনা।

গত ১৫ জানুয়ারিতে সাতক্ষীরা এলাকায় বিউটি পার্লারে চাকরির লোভ দেখানোর পর এক কিশোরী তার প্রতিবেশী মামা নাগিন সোহাগ ও কাল্লুর সঙ্গে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে চাকরি না দিয়ে সাতক্ষীরায় সীমান্ত এলাকায় নিয়ে কিশোরীকে বিল্লাল নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন কাল্লু ও সোহাগ। সেখান থেকে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বিল্লাল এ কিশোরীসহ আরও তিনটি মেয়েকে অবৈধভাবে পাচার করে দেন ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে।  

এদিকে ভারতে পাচার হওয়া মেয়েকে উদ্ধার করতে নিজের পরিচয় গোপন করে কৌশলে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য নাগিন সোহাগ ও কাল্লুর কাছে চাকরির সন্ধান করেন ওই কিশোরীর মা। ফেব্রুয়ারিতে নাগিন সোহাগ ও কাল্লু একইভাবে ভুক্তভোগী কিশোরীর মাকেও এক লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। চক্রটি একই পথে অবৈধভাবে তাকেও নিয়ে যায় ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে। তবে মানবপাচারকারী ওই চক্রের সদস্যদের হাত থেকে মা খুব কষ্টে পালিয়ে যান। এরপর মেয়েকে খুঁজে পেতে তিন মাস ধরে কলকাতার অলিগলি, কখনও দিল্লির অলিগলি চষে বেরিয়েছেন। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ (পশ্চিম দিনাজপুর) ও বিহারের সীমান্তবর্তী এলাকা কিশানগঞ্জের পাঞ্জিপাড়ার নিষিদ্ধ পল্লী থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন সাহসী এ মা।

উদ্ধারের পর বাংলাদেশে ফিরে আসার সময় ভারত সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদস্যরা তাদের ধরে ফেলেন। পরে পুরো ঘটনা খুলে বললে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে যোগযোগ করে বিএসএফ। এরপর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

মেয়েকে উদ্ধার করে দেশে ফিরে আসার পর রাজধানীর পল্লবী থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশের সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী এ পরিবারটি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
এসজেএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।