মাদারীপুর: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় নিজাম সরদার (৩৮) নামে এক পল্লি চিকিৎসকের দুই হাত বাঁধা ও ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ আগস্ট) ভোরে কালকিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর এলাকা থেকে নিজামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নিহত নিজাম একই এলাকার রহমান সরদারের ছেলে ও তিনি স্থানীয় গোপালপুর বাজারে চিকিৎসাসেবা দিতেন। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহতের স্বজনরা জানান, রোববার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাত ১১টার দিকে খাবার খেয়ে ব্রাশ হাতে নিয়ে ঘরের বাইরে বের হয় নিজাম সরদার। পরে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাতে তার কোনো সন্ধান পায়নি। সোমবার ভোরে বাড়ির সড়কের সামনের একটি বেলগাছে নিজামের দুই হাত বাঁধা ও ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান মসজিদের ইমান। পরে পরিবারের লোকজনদের খবর দেন তিনি।
স্বজনদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে নিজামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘটিয়ে বিষয়টি অন্যখাতে নেওয়ার জন্য তার মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের কারণে পল্লি চিকিৎসকের প্রথম স্ত্রী জোৎস্না বেগম তিন মাস আগে চলে যান। এর দেড় মাস পরে পাখি আক্তার নামে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেন নিজাম। প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ার পর নানা কারণে বিরোধ সৃষ্টি হয় পরিবারের মধ্যে।
নিহত নিজামের ভাতিজা বলেন, আমার চাচাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করলে তার দুই হাত বাঁধা থাকার কথা নয়। তাকে হত্যা করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অজ্ঞাত খুনিরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা এ ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে রয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
এএটি