কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকমা পল্লি ও বৌদ্ধ বিহারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে মানববন্দন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
আদিবাসী ফোরাম জেলা শাখার সভাপতি থোয়াই অং রাখাইনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. রুবাইয়াত ফেরদৌস, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা অনিল দত্ত, ব্রাহ্মণ সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী, হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারি, রাখাইন স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ড. আচিং রাখাইন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংবিধানে সব ধর্ম ও জাতির প্রতি রাষ্ট্রের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও প্রতিনিয়ত তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। কথিত ধর্ম অবমাননাসহ নানা তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। এতে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ধর্ম-নিরপেক্ষ চেতনা।
গত ২৫ অক্টোবর চাকমা তরুণীকে ইভটেজিং করার জেরে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালীতে স্থানীয় বাঙালি ও চাকমা সম্প্রদায়ের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চাকমা পল্লি ও বৌদ্ধ বিহারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন।
ঘটনায় চাকমা সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে স্থানীয় এক ছাত্রলীগে নেতাকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় চাকমাদের অভিযোগ, পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে না পারলেও অভিযুক্তরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এসবি/এমজেএফ