ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ময়লা-আবর্জনা-বর্জ্যে স্বাগত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
ময়লা-আবর্জনা-বর্জ্যে স্বাগত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে

নারায়ণগঞ্জ: সুন্দর সড়ক দিয়ে আসছেন। এর মধ্যে হঠাৎ করেই নাকে দুর্গন্ধ আসতে শুরু করলো।

এর মধ্যে পাশে তাকাতেই দেখা গেল ময়লার ভাগাড়! আরে আশ্চার্য। যেখানে ময়লার ভাগাড়ের সমাপ্তি সেখানে একটি তোড়নে লেখা স্বাগতম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। নগরীর বাইরের কেউ তো নয়ই খোদ নগরবাসীরাও বিষয়টি ভালোভাবে নেন না।  

বাংলাদেশের রাজধানীর পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ। প্রাচ্যের ড্যান্ডিখ্যাত শীতলক্ষ্যা নদীবেষ্টিত ব্যবসায়ীক অঞ্চল এই জেলা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রান্তিক থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও নিয়মিত যাতায়াত করেন এই নগরীতে। কিন্তু হায় এ কী অবস্থা! নগরীতে প্রবেশ করতে যাবার সময় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সড়কের পাশে ফেলে রাখা ময়লা স্বাগত জানায় সিটি করপোরেশন এলাকায়। এটি বড্ড বেমানান ও দৃষ্টিকটু।  

জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা, আবর্জনা, বর্জ্য অপসারণ করে নিয়মিত এখানে ডাম্পিং করে সিটি করপোরেশন। এটি মেয়রের নির্দেশনা বলেই বলে থাকেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। এত বড় একটি সিটি করপোরেশনে ময়লার কোনো ডাম্পিং নেই বরং ময়লা ফেলা হয় এমন স্থানে যেটি এই জনপদে প্রবেশদ্বার।  

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশের সময় এমন ময়লা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন নাজমুল হাসান। তিনি অবাক হয়ে সিএনজি চালককে জিজ্ঞাসা করেন, এখানে এত ময়লা কেন। আমি কক্সবাজার থেকে বাসে চড়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়কের কোথাও তো এমন অবস্থা দেখিনি। অথচ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রবেশের শুরুতেই এই অবস্থা। এই নগরবাসী নাগরিক সুবিধা ঠিকমতো পায় তো!

সিএনজি চালক কামালউদ্দিন তাকে উত্তরে বলেন, এটি তাদের নিত্যসঙ্গী। প্রতিদিন এই পথে যেতে আসতে প্রতিবার এই ময়লা দেখেন ও দুর্গন্ধ নেন। এটি খুবই বাজে একটি অবস্থা নগরবাসীর জন্য।  

কথা হয় নাজমুল হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, মামার বাড়ি আমলাপাড়া এলাকার বেড়াতে এসেছেন। আসার পথে এমন অবস্থার মুখোমুখী হয়েছেন যা তিনি এর আগে কখনো দেখেননি। আর মামার বাড়িতে এটি তার প্রথম আসা। নারায়ণগঞ্জের কথা শুনতে শুনতে তিনি ভেবেছিলেন এই নগরীর প্রবেশের পথে হয়তো থাকবে ভিন্ন কিছু, তবে এতটা যে ভিন্ন তিনি ভাবেন নি।  

কথা বলতে চাইলে নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এমনটাই আদেশ রয়েছে তাদের। মেয়র এবং কর্মকর্তারা এখানেই ময়লা ফেলতে বলেছেন বলে তারা জানান। তবে খুব দ্রুত জালকুড়িতে ময়লা ফেলায় যায়গা প্রস্তুত করা শেষ হলে সেখানে নাকি ময়লা ফেলা হবে এমনটা কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন। তবে নাসিক কর্তৃক সেই ডাম্পিং প্রজেক্টের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ দাবি করা হলেও এখনো কাজের ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়নি বলে কাজ সংশ্লিষ্টদের সুত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আবুল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।


বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯,২০২১ 
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।