কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল হত্যা মামলার ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চান্দিনা উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন ইলিয়াস বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ আগে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাথুরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারীরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে ১০ গজ পূর্বে এবং কাউন্সিলর যে দোকানঘরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তার সামনে তিন রাস্তার মোড়ে জড়ো হতে থাকেন নারীরা। বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি জানান।
এরপর কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার কাউন্সিলর সোহেলের পরিবারের লোকজনকে সান্ত্বনা দিতে যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তার পাথুরিয়াপাড়ার নিজের ঠিকাদারি কাজ পরিচালনার অফিসে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বসেছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০)। এসময় কয়েকজন মুখোশধারী লোক কাউন্সিলরের অফিসে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। এতে সোহেলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নয়টি গুলি লাগে। এসময় আহত হন তার সঙ্গে থাকা আরো আটজন। গুলিবিদ্ধ সবাইকে হাসপাতালে নিলে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সঙ্গী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৬০) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রোমান। মামলায় ১১ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আট থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কুসিক কাউন্সিলর সোহেল হত্যা: আসামি সুমন গ্রেফতার
কাউন্সিলর হত্যা: পঁয়তাল্লিশ মিনিট ধরে গুলি চলে
শাহআলমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল কাউন্সিলর সোহেলের
কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ ২ জনকে গুলি করে হত্যা
অফিসে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি, কাউন্সিলরসহ ৯ জন গুলিবিদ্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এনটি