অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা জলবায়ু নিয়ে অনেক কথা বলি, কিন্তু কাজ করি কম। একটাই পৃথিবী আমাদের।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে জলবায়ুবিষয়ক সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, জলবায়ু মোকাবিলায় জ্ঞানের অভাব নেই, বরং অভাব আছে আন্তরিকতার। তিনি বলেন, আমি মনে করি ৫টি পক্ষ একসঙ্গে কাজ না করলে জলবায়ু মোকাবিলা সম্ভব নয়-জ্ঞান উৎপাদনকারী, নীতিনির্ধারক, প্রতিষ্ঠান, অর্থায়ন সংস্থা ও জনগণ। এদের সমন্বয় ঘটলেই দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনগণই, আবার তারাই প্রথমে মোকাবিলায় এগিয়ে আসে। স্থানীয় মানুষের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রথম সারিতে রয়েছে। সীমিত সম্পদ ও সামর্থ্য নিয়েও এই সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও বেশি রিপোর্ট করতে হবে। এতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। সচেতনতা দুর্যোগ থামাতে পারবে না, তবে ক্ষতি অনেক কমাতে সক্ষম হবে।
তিনি জানান, জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন প্রয়োজন। অথচ আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন ডলার তুলতেই কঠিন হয়ে পড়ে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান। বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।
প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ুর কারণে ভয়াবহ ভোগান্তির শিকার হলেও বিশ্বের কাছে সেই গল্প যথাযথভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না। ফলে প্রয়োজনীয় অর্থায়নও আসছে না।
সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, এই শতাব্দীর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বড় হুমকি। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং এতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
এসএমএকে/আরবি