পঞ্চগড় সদর উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় নদী ও পুকুরে ডুবে এক শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া এবং পঞ্চগড় পৌরসভার তুলারডাঙ্গা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী তাওসিফ আল মাহমুদ (১৬) ও পঞ্চগড় পৌরসভার তুলারডাঙ্গা এলাকার মো. মাসুমের ১৮ মাস বয়সী মিনহাজ ইসলাম। তাওসিফ মোহাম্মদপুর এলাকার ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইন্সটিটিউট থেকে সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহের সুরতহাল শেষে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুটি ঘটনায় থানায় পৃথক অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত তাওসিফের পরিবারের বরাতে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল ইমরান খান জানান, কোরবানির ঈদের দিন রাতে ঢাকায় মারা যান পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাড়ে চার মাইল এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম, যিনি তাওসিফের নানা। পরে তার মরদেহ ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে এনে রোববার (৮ জুন) দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর সোমবার দুপুরে নানা বাড়ি থেকে কিছু দূরে সন্ন্যাসীপাড়া এলাকার তালমা নদীতে বড় ভাই ও আত্মীয়দের সঙ্গে গোসল করতে যায় তাওসিফ। গোসলের একপর্যায়ে নদীতে বালি ও পাথর উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট গভীর গর্তে তলিয়ে যায় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, তুলারডাঙ্গা এলাকায় নিজ বাড়ির উঠানে খেলছিল শিশু মিনহাজ। এ সময় মা মালেকা বেগম বাসার কাজ করছিলেন। খেলতে খেলতে মিনহাজ বাড়ির বাইরে চলে যায়। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের ডোবার ধারে হাঁটার সময় অসাবধানতাবশত পড়ে যায় সে। পরিবারের সদস্যরা তাকে দীর্ঘ সময় দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ডোবার পানিতে ভেসে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এসআরএস