ঢাকা, শনিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২, ২১ জুন ২০২৫, ২৪ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

ফুলগাজী-পরশুরামে ফের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩২, জুন ২০, ২০২৫
ফুলগাজী-পরশুরামে ফের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন

ফেনী: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের পানিতে ফেনীর ফুলগাজী-পরশুরামে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর দুইটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত ১০টার দিকে এ ভাঙন সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বণিকপাড়া সহদেব বৈদ্যের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের একটি স্থানে ও গোসাইপুর এলাকায় সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়।

এতে উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া, বণিকপাড়া, বসন্তপুর ও জগতপুর এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া এদিন সন্ধ্যা থেকে ফুলগাজী তরকারি বাজার সংলগ্ন স্থানে মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করে বাজারের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে। একইদিন দুপুর থেকে পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় সিলোনিয়া নদীর পানি বেড়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। ২০২৪ সালের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ১০ মাস না পেরোতেই আবারও বাঁধে ভাঙনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দায়সারা কাজকেই দুষছেন স্থানীয়রা।

রাজু নামে বরইয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। গত বছরের বন্যার এক বছর না পেরোতে আবারও আমরা পানিতে ডুবছি। কিছু কর্মকর্তার দায়সারা কাজের কারণে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলে এ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

শামীম নামে ফুলগাজী বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে প্রতিবছর জুন থেকে আগস্ট মাসে সামান্য বৃষ্টিতেই লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। দোকানের জিনিসপত্র পানিতে ভিজে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কাউকে কিছু বলেও কি হবে। এসবে এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

আবদুল মান্নান নামের মনিপুর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কর্মকর্তারা বন্যা এলে ঘটনাস্থলে এসে জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের কথা বললেও বন্যা শেষে আর খবর রাখেনি। আজও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার খবরে কর্মকর্তারা এসে ঘুরে গেছে। কিন্তু আমাদের ভাগ্য কখনো সুখকর হয় না।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি পাতে নদী টইটুম্বুর হওয়ার কথা না। উজানের পানির কারণেই নদীর পানি বাড়তে পারে।  

এ ব্যাপারে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি বাড়ছে। তবে মুহুরী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। বাঁধের ভাঙনস্থল রক্ষায় স্থানীয়দের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের নিরাপত্তায় আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এসএইচডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।