খুলনা: সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) “নেতৃত্বে নারী ও তরুণ: বাধা কোথায়?” শীর্ষক একটি সংলাপ ও কর্মশালার আয়োজন করে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) খুলনা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, তরুণ রাজনীতিবিদ, নারী নেতৃত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ; সিপিবি খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ বাবুল হাওলাদার; এবং এনসিপি খুলনা জেলার সংগঠক ডা. আব্দুল্লাহ চৌধূরী । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজিএস’র প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। কর্মশালাটি সিজিএস’র “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারী ও তরুণদের সম্পৃক্ততা” শীর্ষক চলমান প্রকল্পের অংশ, যা বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।
আলোচনার সূত্রপাত করে সঞ্চালক জিল্লুর রহমান প্যানেলিস্টদের সামনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেন। তিনি জানতে চান, খুলনা অঞ্চলে নারীরা ও তরুণ সংগঠকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সত্ত্বেও কেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ছেন এবং তাদের অগ্রগতির পথে সমাজ, পরিবার না দলীয় সংস্কৃতি, কোনটি সবচেয়ে বড় বাধা। রহমান ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণআন্দোলনের পর সৃষ্ট প্রজন্মগত অনাস্থার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং দলগুলোতে নেতৃত্বের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি না হওয়া এবং যোগ্যতার চেয়ে আনুগত্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সংস্কৃতির ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বাধ্যতামূলক প্রার্থী কোটা এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থার কার্যকারিতার মতো সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনার জন্য প্যানেলিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান। সবশেষে, তিনি অনলাইন হয়রানি মোকাবিলায় করণীয় এবং বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বের মধ্যে কী ধরনের গুণাবলী থাকা উচিত, সে সম্পর্কে জানতে চান।
প্যানেল আলোচনার পর, উপস্থিত তরুণ ও নারী প্রতিনিধিরা দিনব্যাপী একটি কর্মশালায় অংশ নেন। এই কর্মশালায় দলীয় আলোচনার মাধ্যমে রাজনীতিতে নারী ও তরুণদের প্রতিবন্ধকতাগুলো আরও গভীরভাবে চিহ্নিত করা হয় এবং এর বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়।
এমআরএম