টানা বৃষ্টিতে রাজশাহীর গ্রামাঞ্চলে এরইমধ্যে জমিতে থাকা কলা ও পেঁপে গাছ পড়ে যেতে শুরু করেছে। ক্ষতি হচ্ছে শীতকালীন আগাম সবজির।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দু’দিন থেকে রাজশাহীতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বৃষ্টিতে শনিবারও (২১ অক্টোবর) স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটছে। স্কুল পর্যায়ে পিইসি পরীক্ষা ঘিরে মডেল টেস্ট শুরু হয়েছে। তাই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেই অভিভাবকদের সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
কখনও মুষলধারে আবার কখনও গুঁড়িগুঁড়ি, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে, থামার কোনো লক্ষণ নেই। মেঘমেদুর আবহাওয়া আর টানা বর্ষণে খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এরইমধ্যে অনেকে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে নগরীর নিম্নাঞ্চলে।
দু’দিনের ভারী বর্ষণের কারণে অনেকটা ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে মহানগরীর বিপনি-বিতানগুলো। ফুটপাতের দোকানগুলো প্রায় বন্ধ। গ্রামাঞ্চলের চাতালগুলোতে ধান শুকানো যাচ্ছেনা। এতে চাতাল শ্রমিকরা বেকার সময় কাটাচ্ছেন।
লাগাতার বর্ষণে সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর প্রধান সড়কগুলোয় যানবাহন চলাচল কম লক্ষ্য করা গেছে। রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও যাত্রীদের কাছে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৮টা ১৫ মিনিট থেকে এ অঞ্চলে বর্ষণ শুরু হয়েছে। কখনও গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার), অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তার চেয়ে বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজশাহীতে ১শ' ২৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, নিম্নচাপটি স্থলভাগে আসার পর তা লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বর্ষণ চলছে। আগামী ২/৩ দিনের আগে অবস্থার উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসবে বলে জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।
বাংলদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এসএস/জেডএস