ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হারতে ভুলে যাওয়া সাকিবদের আরেকটি দুর্দান্ত জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
হারতে ভুলে যাওয়া সাকিবদের আরেকটি দুর্দান্ত জয় ছবি:সংগৃহীত

চলমান আইপিএলে একের পর এক দুর্দান্ত জয় তুলেই নিচ্ছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। বড় লক্ষ্যও এখন উইলিয়ামসন-সাকিবদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। সর্বশেষ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের দেয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্যকেও মামুলি টার্গেট বানিয়ে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

এই আসরে গত ২২ এপ্রিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে সর্বশেষ হেরেছিল হায়দ্রাবাদ। যেখানে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচের ৯টিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

এদিন ৪২তম ম্যাচে ঋশভ প্যান্তের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে প্রথমে ব্যাট করা দিল্লি নির্ধারিত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ করে। তবে শিখর ধাওয়ান ও কেন উইলিয়াসনের ব্যাটে পাত্তাই পেল না ঘরের মাঠে খেলতে নামা দিল্লি। ৭ বল বাকি থাকতেই এক উইকেট হারিয়ে ১৯১ করে জয়র বন্দরে পৌঁছে যায় হায়দ্রাবাদ।

ফিরোজ শাহ কোটলায় জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি হায়দ্রাবাদের। দলীয় ১৫ রানে হার্শাল প্যাটেলের বলে এলবি হয়ে ফেরেন ওপেনার অ্যালেক্স হেলস (১৪)। কিন্তু দিল্লি হয়তো ভাবতেও পারেনি এটি তাদের বোলিংয়ে একমাত্র সাফল্য হয়ে থাকবে।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ধাওয়ান ও উইলিয়ামসন। এটি আবার চলমান আইপিএলে এখন পর্যন্ত রেকর্ড জুটি। প্রথমে কিছুটা ধীর গতির হলেও পরে আক্রমণাত্মক খেলেই জয় এনে দেয় এই জুটি। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত ধাওয়ান ৫০ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯২ করে অপরাজিত থাকেন।

কম যাননি অধিনায়ক উইলিয়ামসনও। ধাওয়ানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৫৩ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৮৩ রান আসে এই নিউজিল্যান্ড দলনেতার ব্যাট থেকে। এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে ৬টি হাফসেঞ্চুরিসহ ৪৯৩ করা এ কিউই চলমান আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন। সমান ম্যাচে ৫২১ করা দিল্লির প্যান্ত শীর্ষে রয়েছেন।

টসে জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে বিপাকেই পড়ে দিল্লি। বল হাতে ম্যাচের চতুর্থ ওভার ও নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তার দখলে ছিলেন দুই ওপেনার পৃথ্থী শাও ও জেসন রয়।

প্রথমে কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করলেও দিল্লির ত্রাণকর্তা হয়ে পরে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তরুণ প্যান্ত। শেষ পর্যন্ত তিনি ৬৩ বলে ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১২৮ করে অপরাজিত থাকেন। তার এই ইনিংস আবার সব আইপিএল মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভারতীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ২০১০ সালে রাজস্থান রয়েলসের বিপক্ষে ১২৭ করেছিলেন চেন্নাইয়ের মুরালি বিজয়। কিন্তু ধাওয়ান ও উইলিয়ামসনদের ব্যাটিংয়ে ম্লান হয়ে যায় প্যান্তের সেঞ্চু্রি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ করেন হার্শাল প্যাটেল।

হায়দ্রাবাদ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সাকিবই। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন তিনি। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারির তালিকায় বর্তমানে ১০ম স্থানে রয়েছেন সাকিব। সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হার্দিক পান্ডিয়া। হায়দ্রাবাদের হয়ে একটি উইকেট পান ভুবেনশ্বর কুমার।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান শিখর ধাওয়ান।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, ১১ মে, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।